কারোর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে সেই মানুষটির চোখের দিকেই প্রথম দৃষ্টি যায়। চোখ দেখেই সেই মানুষ সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়। তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম চোখ সুন্দর করে সাজানো আবশ্যিক। সেই জন্যই তো সাহিত্য়ে চোখ নিয়ে রয়েছে কত রকমের বর্ণনা।
কিন্তু এই কাঠফাটা গ্রীষ্মে অক্ষিযুগলকে সাজিয়ে তোলা মোটেই সহজ নয়। কারণ এই গরমে যতই সুন্দর করে চোখে তুলির টান দিন, তা কিছুক্ষণের মধ্য়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে একসা। ফলাফল স্বরূপ চোখের কালো সারা মুখ ছেয়ে যাওয়া। তাই এই গরমে চোখে কাজল পরা থেকে বিরত থাকতে হয় অনেককেই। কিন্তু গরম বলে সৌন্দর্যের সঙ্গে আপোশ করা চলবে না। তাই জেনে নেওয়া দরকার ঠিক কীভাবে কাজল পরলে তা স্মাজ হবে না। দীর্ঘক্ষণ একই রকম থাকবে কাজল-
১) ঘাম রুখতে বরফের জুড়ি মেলা ভার। একটি কাপড়ের রুমালে বরফ নিয়ে, তা দিয়ে চোখের চারপাশে হালকা করে মাসাজ করুন। এতে চোখের পাশের অতিরিক্ত তেল চলে যায়। চোখে বরফ ঘষলে চোখের ফোলা ভাব বা আই ব্যাগের সমস্যাও দূর হয়।। কিছুক্ষণ পরে শুকিয়ে গেলে চোখের মেক আপ শুরু করুন।
২) কাজল লাগানোর আগে চোখের চারপাশে বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম মাখুন। দেখবেন যাতে ক্রিম পুরোপুরি ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। এতে অতিরিক্ত তেল চোখের পাশ থেকে চলে যাবে। ডার্ক সাকলের সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিবি বা সিসি ক্রিম লাগান। এই পদ্ধতিতে কাজল লাগানোর পরে স্মাজ হবে না।
৩) চোখের কোণে অনেক সময়ে অতিরিক্ত তেল জমে যায়। এর ফলে কাজল স্মাজ হয়ে যায়। তাই কাজল পরার আগে ইয়ার বাড দিয়ে চোখের কোণ পরিষ্কার করুন।
৪) চোখের উপরের ও নীচের ওয়াটার লাইনে কাজল লাগান। তবে ভিতরে কোণে কাজল লাগাবেন না। ভিতরে কোণে চোখে অনেক সময়ে জল থাকায় কাজল স্মাজ হয়ে যায়। উপরের ওয়াটার লাইনে কাজল লাগালে চোখ সুন্দর দেখায়।
৫)গরমে ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার ব্যবহার করুন। উপর ও নীচের ওয়াটার লাইনে কাজল লাগানোর পরে কোনও ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার তার উপরে লাগিয়ে নিতে পারে। আইলাইনার কাজল ধরে রাখবে। আইলাইনার চোখের কোণেও লাগাতে পারেন। এতে কাজল ছড়াবে না।
৬) কাজল ও আই লাইনার পরার পরে একটি হালকা করে লুস পাউডার চোখের চার পাশে লাগিয়ে নিন। এতে চোখের পাশের অতিরিক্ত তেল দূর হয়।