৭ নভেম্বর নয়াদিল্লি থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করল এই ট্রেন। ১৬ দিনের যাত্রা করে ২৩ নভেম্বর ফিরবে এই ট্রেনটি। শ্রী রামায়ণ সার্কিট ট্রেন যাত্রা শুরু করল ১০০ শতাংশ সদস্য নিয়ে। এমনই জানান হল রেলের (Rail) পক্ষ থেকে। ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের’ তৎপরতায় ও ‘দেখো আপনা দেশ’ প্রকল্পের আওতায় ১৬ দিনের শ্রী রামায়ণ যাত্রা (Shri Ramayan Yatra) আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার যাত্রা শুরু করল শ্রী রামায়ণ (Shri Ramayan Yatra) সার্কিট ট্রেন । ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC)-র পক্ষ থেকে এই বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে। ৭ নভেম্বর নয়াদিল্লি থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করল এই ট্রেন। ১৬ দিনের যাত্রা করে ২৩ নভেম্বর ফিরবে এই ট্রেনটি। শ্রী রামায়ণ সার্কিট ট্রেন যাত্রা শুরু করল ১০০ শতাংশ সদস্য নিয়ে। এমনই জানান হল রেলের (Rail) পক্ষ থেকে। ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের’ তৎপরতায় ও ‘দেখো আপনা দেশ’ প্রকল্পের আওতায় ১৬ দিনের শ্রী রামায়ণ যাত্রা (Shri Ramayan Yatra) আয়োজন করা হয়েছে।
‘শ্রী রামায়ণ যাত্রা’ (Shri Ramayan Yatra) শুরু হল ৭ নভেম্বর। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) রবিবার টুইট করে জানান, ‘অপেক্ষার অবসান। ১০০ শতাংশ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল শ্রী রামায়ণ সার্কিট। এই ট্রেনের পরবর্তী সফল ১২ই ডিসেম্বর। জয় জয় শ্রীরাম।’
এই ট্রেনে বিভিন্ন ধর্মস্থান ভ্রমণ করবেন যাত্রীরা। সম্পূর্ণ বাতানুকূল ডিলাক্স ট্রেনটি ৭ নভেম্বর যাত্রা শুরু করল নয়াদিল্লি থেকে। ১৬ রাত ১৭ দিনের এই যাত্রায় গিয়েছে ১৩২ জন পর্যটক। এই ট্রেন প্রসঙ্গে দর্শনা জারদোশ (Darshana Jardosh) বলেন, ‘জয় শ্রী রাম! প্রথম রামায়ণ সার্কিট ট্রেন দিল্লির রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ছে। এই ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, যা যাত্রীদের আগামী ১৭ দিনের মধ্যে ভগবান শ্রী রামের জীবনের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি যেমন অযোধ্যা (Ayodhya), সীতামারহি (Sitamarhi) এবং চিত্রকূট (Chitrakut) ইত্যাদি পরিদর্শনে নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: Gold Price Today : সোনা না রূপো পাল্লা ভারী কার, জেনে নিন ১০ গ্রামের কলকাতার দর
যাত্রাটি শ্রী রামের জন্মস্থান অযোধ্যা (Ayodhya) দিয়ে শুরু করবে যাত্রা। এই ট্রেনে পর্যটকরা শ্রী রামের জন্মভূমি মন্দির, হনুমান মন্দিরের মতো একাধিক ভারতীয় মন্দির পরিদর্শন করবে। রামায়ণ যাত্রার পরবর্তী গন্তব্য হবে বিহারের সীতামারহি (Sitamarhi)। যেখানে তীর্থযাত্রীদের মা সীতার জন্মস্থান এবং জনকপুরের রাম-জানকি (Ram-Janaki) মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর পরে, ট্রেনটি বারাণসীর দিকে যাবে। সেখানে পর্যটকরা বারাণসী (Baranashi), প্রয়াগ (Prayag), শ্রিংভারপুর (Shringverpur) এবং চিত্রকূটের (Chitrakoot) মন্দিরগুলি দেখতে পাবেন। তারপর যাত্রাটি মহারাষ্ট্রের নাসিকে (ত্রয়ম্বকেশ্বর মন্দির) চলে যাবে এবং তারপরে পঞ্চবটি (Panchvati) সফর করবেন পর্যটকরা।রামেশ্বরমের (Rameshwaram) শেষ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে, যাত্রাটি হাম্পিতে হনুমানের জন্মস্থান- কিষ্কিন্দা নামে পরিচিত প্রাচীন শহরে থামবে। পুরো যাত্রায় যাত্রীরা প্রায় ৭৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবেন।
জানা গিয়েছে, ট্রেনটির দুটি বিভাগ রয়েছে। ২ এসি ও ১ এসি। ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা অচ্যুত সিং (Achyut Singh) জানিয়েছিলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ট্রেনে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। আলাদা লকারও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ট্রেনে খাবারের জন্য দুটি আলাদা কোচ রয়েছে। 'শ্রী রামায়ণ যাত্রা'-এর পরে, IRCTC একটি বিশেষ রামপথ যাত্রা ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করছে যা ২৭ নভেম্বর শুরু হবে।