একবার হাঁপানির সমস্যা হলে তার থেকে রেহাই পাওয়া বেশ মুশকিল। অ্যালার্জি থেকেও হাঁপানি চেপে বসতে পারে। কিন্তু হাঁপানিরও বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। শৈশব থেকেই সাধারণত হাঁপানির সমস্যা শিকার হতে হয়। তবে যে কোনও বয়সেই হাঁপানির কবলে পড়তে হতে পারে।
হাঁপানির লক্ষণ-
১) অনবরত কাশি। বিশেষ করে রাতে ও ভোরের দিকে বেশি কাশি হতে থাকে।
২) হাঁপানির রোগীদের প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে ঘরঘর আওয়াজ হয়।
৩) বুকে চাপ অনুভব করা। এর থেকে মনে হয় যেন বুকের উপর কিছু চেপে বসে রয়েছে।
৪) অনবরত নিঃশ্বাস কষ্ট হওয়া হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ।
তবে প্রত্যেক হাঁপানি রোগীর যে এই লক্ষণগুলি থাকবেই তার কোনও মানে নেই। অনেক সময়ে এর কোনও লক্ষণই থাকে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমন লক্ষণ থাকলেও, দেখা যায় তাঁর হাপানি নেই। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খাবেন।
সাধারণত অতিরিক্ত দৌড়োদৌড়ি, ছুটোছুটি, স্ট্রেস, ঠান্ডা হাওয়া ও বিশেষ কিছু ওষুধের প্রভাবে হাঁপানির কবলে পড়তে হয় বা হাঁপানির রোগীদের অস্বস্তি বেড়ে যায়। এছাড়া বংশে আগে কারও হাঁপানি থারকলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অ্য়ালার্জির সমস্যা থাকলেও হাঁপানির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া পোষ্যের লোম থেকে, ধূমপান, দূষণ,ওবেসিটি থেকেও হতে পারে হাঁপানির সমস্যা।
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের শরীরের গঠনই বলে দেয় তাঁদের হার্ট কতটা সুস্থ
জেনে নেওয়া যাক হাংপানির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকা-
১)সরশের তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে সেই তেল নিয়মিত বুকে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায় হাঁপানি থেকে।
২) জলের মধ্য কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে সেটাকে গরম করে তার ভেপার নিন নিয়মিত।
৩) বেদানার রসে একটু মধু ও আদার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে ২-৩ বার এই মিশ্রণ খান। হাঁপানি থেকে আরাম পাবেন।
৪) ব্ল্যাক টি বা ব্ল্যাক কফিতেও হাঁপানির কষ্ট থেকে আরাম পাওয়া যায়।
৫) ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।