শীতকালে নবজাতকদের একটু বেশিই যত্ন করতে হয়। বিশেষত শীত পড়লেই নবজাতকদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকে। আর তা নিয়ে মায়েরা চিন্তিত হয়ে যান। শীতকালেই অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ঠান্ডা থেকে শুরু করে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও অনেক বেশি থাকে। বাচ্চারা অসুস্থ হলেই খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়। সদ্যোজাত শিশুদের প্রতি কীভাবে বাড়তি যত্ন রাখতে হয়,জেনে নিন কয়েকটি সহজ উপায়।
আরও পড়ুন-শীতের উষ্ণতায় ট্রেন্ডি শাল, পুরোনো থেকে নতুন ফ্যাশনের রইল কয়েকটি হদিশ...
তাপমাত্রা
সাধারণত শিশুর জন্মের পর মায়ের গর্ভের তাপমাত্রা এবং পারিপাশ্বিক তাপমাত্রার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। সেই তাপমাত্রার সঙ্গে শিশুকে খাপ খাওয়াতে গেলে পর্যাপ্ত তাপের ব্যবস্থা করতে হবে। মায়ের সঙ্গে শিশুর স্বাস্থ্যের ও গভীর যোগ রয়েছে, তাই মায়েরও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ব্রেস্ট ফিড
জন্মের পর থেকেই বেশি পরিমাণে ব্রেস্ট ফিড করাতে হবে শিশুকে। এতে খুব তাড়াতাড়ি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। ঘন ঘন ব্রেস্ট ফিড করলে সহজেই ঠান্ডা, কাশি ইত্যাদি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-সঙ্গীকে নিজের বশে রাখতে চান, জেনে নিন গোপন টিপস...
গরম জামাকাপড়
শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে গরম জামাকাপড় পরাতে হবে। শিশুর দেহ বেশি তাপ ধরে রাখতে পারে না তাই সহজেই ঠান্ডা হয়ে যায়। শিশুকে উষ্ণ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম জামাকাপড় তাকে পরাতে হবে।
শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি
শীতকালে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির সমস্যা বেশি দেখা যায়। নবজাতকদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই শিশু যেই ঘরে থাকবে সেটি গরম রাখার ব্যবস্থা করুন। পরিবারের কোনও সদস্যের জ্বর, ঠান্ডা লাগলে বাচ্চার থেকে দূরে রাখুন। বিকেলের পর যতটা সম্ভব শিশুকে ঘরের মধ্যে রাখুন।
ত্বকের যত্ন
শীতের রুক্ষ আবহাওয়ার জন্য ত্বকের ক্ষতি হয়। এর থেকে চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এছাড়াও অনেক বাচ্চারই স্কিনের সমস্যা দেখা যায় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ীও তেল বা বডিলোশন লাগাতে পারেন।