সুখের খোঁজে যেতে পারেন সুখরিয়া

  • হুগলি জেলার সুখরিয়া বিখ্যাত হয়েছে মন্দির স্থাপত্যের জন্য
  • সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, হরসুন্দরী মন্দির,নিস্তারিনী কালী মন্দির দেখে আসুন 
  • টেরাকোটার কাজ, জমিদার বাড়ির ইতিহাস মুগ্ধ করবে 
     

সপ্তাহের শেষে চেনা পরিধির বাইরে যেতে চাইলে ঘুরে আসুন সুখরিয়া। যেমন সুন্দর নাম তেমন প্রশান্তির জায়গা এই সুখরিয়া। কলকাতা থেকে সময় লাগবে ঘন্টা দুয়েক। দিনের দিন গিয়ে, ঘুরে আসা যায় সুখরিয়া। সোমড়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন ও বলাগড়-এর মাঝখানে সুখরিয়া বিখ্যাত হয়েছে মন্দির স্থাপত্যের জন্য। এখানে মন্দির স্থাপত্যের বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। সবুজ প্রকৃতির মধ্যে লাল টেরাকোটার মন্দির দেখে ভালো লাগবে পর্যটকদের। স্টেশন থেকে বেরিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে গাড়িতে চড়েই হোক কিংবা হেঁটে হেঁটে যাওয়ার সময়ই চোখে পড়বে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৫ সালে। এখন যে মন্দির দেখবেন তা নতুন করে নির্মিত হয়েছে পরবর্তী কালে। এটি এখানকার প্রাচীনতম মন্দির। আগে এই মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যেত গঙ্গা। এখন গ্রামের উত্তর দিকে রয়েছে গঙ্গা। মন্দির প্রাঙ্গনে প্রাচীন বট গাছের ছায়ায় মন শীতল হয়। এখান থেকেই দেখতে পাওয়া যায় হুগলি নদীর ধার ঘেঁষে সবুজ দ্বীপ। শীতকালে প্রচুর মানুষ আসেন সবুজ দ্বীপে পিকনিক করতে। রমরম করে চলে রান্নাবান্না, খাওয়া দাওয়া, আর নির্ভেজাল ছুটি কাটানো। কিন্তু যদি নির্জনতা ভালো লাগে তাহলে সুখরিয়া ঘুরে দেখতে পারেন আর না হলে সবুজ দ্বীপে ঘুরেও আসতে পারেন।

সুখরিয়া গ্রামে ইতিহাসের ছোয়াঁ আগলে রেখেছে মিত্র মুস্তাফি বাড়ি। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কাছে উপাধি পেয়ে এই গ্রামের জমিদার রামেশ্বর মিত্র নিজের উপাধির সঙ্গে জুড়ে দেন "মুস্তাফি" পদবী। এখনও এই বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। এই বিশাল বাড়ির দশা করুণ তবুও পুরনো আর নতুনের মাঝে সেতুর মতো রয়ে গেছে এই বাড়ি ঐতিহাসিক গন্ধ নিয়ে। 

Latest Videos

বীরেশ্বর মুস্তাফি স্থাপিত করেছিলেন আনন্দ ভৈরবী মন্দির- যার ২৫টি চূড়ার মধ্যে পাঁচটি চূড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে। ওই পাঁচটি চূড়া নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরের পাশেই আছে ১০টি আটচালা মন্দির ও দুটি পঞ্চরত্ন মন্দির। এছাড়াও যে জলাশয়ে মন্দিরের ছায়া পড়েছে তার সৌন্দর্য আজও অমলিন। 

এরপর আরও কিছুটা গেলেই চোখে পড়বে হরসুন্দরী মন্দির। দেওয়ান রামনিধি মুস্তাফি তৈরি করান এই নবরত্ন মন্দির ১৮১৩ সালে।  দেখে ভালো লাগে এই মন্দির চত্ত্বরে একটি অনাথ আশ্রম পরিচালিত হয়।
এছাড়াও সুখরিয়া গ্রামে আছে নিস্তারিনী কালী মন্দির- যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন কাশীগতি মুস্তাফি। সাল- ১৮৪৭। এটিও নবরত্ন মন্দির।


কীভাবে যাবেন- শিয়ালদা থেকে কাটোয়া লোকালে করে পৌঁছতে হবে সোমড়া বাজার স্টেশন। তারপর ভ্যান বা টটো-এ চেপে পৌঁছে যান সুখরিয়া।

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury