আরব সাগরের রহস্যময় এই শিব মন্দির, প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য় ভেসে ওঠে সমুদ্রের মাঝে

Published : Oct 20, 2019, 12:46 PM ISTUpdated : Feb 07, 2020, 09:28 AM IST
আরব সাগরের রহস্যময় এই শিব মন্দির, প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য় ভেসে ওঠে সমুদ্রের মাঝে

সংক্ষিপ্ত

সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত সমগ্র হিন্দু সমাজে শিব পুজোর প্রচলন আছে সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র সমূহে শিব পুজোকে সর্বশ্রেষ্ঠও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে শিবের এই মন্দির গুজরাটের  ভব নগরকে আরব সাগরের নীচে অবস্থিত

সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় রূপ তিন কারনের কারন, পরমেশ্বর- এটা তার প্রণাম মন্ত্রেই বার বার উঠে এসেছে। শিব মূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তার তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পুজো করা হয়। সমগ্র হিন্দু সমাজে শিব পুজোর প্রচলন আছে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রে বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের কিছু অংশে শিব পুজোর ব্যাপক প্রচলন লক্ষিত হয়। সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহে শিব পুজোকে সর্বশ্রেষ্ঠও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- ভারতের বুকে এমনকিছু গ্রাম যাদের কাহিনি অবাক করে দেবে

তবে জানলে অবাক হবেন এমনই এক শিব মন্দির রয়েছে যা আজও রহস্যময়। শিবের এই মন্দির গুজরাটের  ভব নগরকে আরব সাগরের নীচে অবস্থিত। সমুদ্রতীর থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে এক শিব মন্দির যা নিষ্কলঙ্কেশ্বর শিব মন্দির নামে পরিচিত। তবে যে কোনও সময় গেলে দেখা পাওয়া যায় না এই মন্দিরের। বিশেষ সময় ছাড়া দর্শনার্থীরা গেলে সেখানে সমুদ্রের জলরাশি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। এই মন্দিরের এই রহস্য আজও অমিমাংসীত। এমনকি সেখানে যে কোনও মন্দিরের অস্তিত্ব থাকতে পারে তাও বোঝা যায় না। কেবল মন্দির চূড়ার পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। দুপুর ১ টা থেকে রাত ১০টা অবধি গেলে দেখা মেলে এই মন্দিরের। পুজো হয় দেবাদিদেব মহাদেব এর।

আরও পড়ুন- একটু কাছাকাছি, কলকাতার যে দশটি জায়গায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়

আরও পড়ুন- পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া, এই সময় চুল পড়া কমাতে মাথায় রাখুন কয়েকটি টিপস

প্রচলিত আছে, এই মন্দির নির্মান করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডবেরা। নিজেদের পাপ মোচন করার জন্যই এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তারা। এই মন্দিরের উচ্চতা ২০ ফুট। যা বিশেষ সময় ছাড়া সাগরের গহ্বরে নিমজ্জিত থাকে। সময় হতেই তা সূর্যোদয়ের মত সমুদ্র বক্ষ থেকে উঠে আসে। এই দৃশ্য দেখার জন্যই বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন সমুদ্র তটে। এখনও মনোষ্কামনা পূরণের আশায় এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন বহু পুণ্যার্থী।

PREV
click me!

Recommended Stories

সব বল পেনে ঢাকনাতেই ফুটো থাকে কেনো? এক ক্লিকে জানুন এর আসল কারণগুলি
আপনার পোষ্যের ঘুমের অঙ্গীভঙ্গি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন তার মনোভাব