ভিটামিন ডি-র অভাবে কী কী হতে পারে! বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না

  • শরীরে ভিটামিনের অভাবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড়ের সমস্য়া লেগেই থাকে।
  • জানুন ঠিক কী কী কারণে ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে। 
  • কী করবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ ঠিক রাখতে।
     

swaralipi dasgupta | Published : May 6, 2019 12:31 PM IST

শরীরে ভিটামিনের অভাবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড়ের সমস্য়া লেগেই থাকে। এছাড়া মেটাবলিজমেও প্রভাব পড়ে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো না পড়লেও ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতে সূর্যের আলো যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্য়া বাড়ছে। 

বয়স, লিঙ্গ, খাদ্য়াভ্য়াস নির্বিশেষে ভিটামিন ড-এর অভাব দেখা দিতে পারে। একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্য়ার ৭৯ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। 

ঠিক কী কী কারণে ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে- 

মূলত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম এলে ভিটামিন ডি-র  অভাব হতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন স্কিন কমপ্লেকশনের জন্য়ও শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণের উপর প্রভাব পড়ে।

যাঁদের হজমের সমস্য়া রয়েছে, তাঁদের চট করেই ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ কাবু করতে পারে।

বয়সজনিত কারণেও শরীরে ভিটামিনের অভাব ঘটতে পারে। 

যাঁরা কিডনি বা লিভারের সমস্য়ার জন্য় ওষুধ খান, তাঁদের শরীরে সহজেই ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা দিতে পারে। 

যাঁরা ভিটামিন ডি সমৃ্দ্ধ খাবার কম খান তাঁদেরকেও ভিটামিন ডি-এর অভাবের সমস্য়া সহজেই হতে পারে। 

ভিটামিন ডি-এর অভাবে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে- 

প্রায়ই গাঁটে ও কোমরে ব্য়থা ভিটামিন ডি-র অভাবের একটি বড় লক্ষণ। এছাড়া সারাদিন দুর্বল বোধ করা।  মাঝে মাঝেই ক্লান্তি থেকে ঘুম পাওয়া। বেশ কিছু ক্ষেত্রে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে ও ওজন কমতে থাকে। 

কী করবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ ঠিক রাখতে- 

১) গরমে যতই কষ্ট হোক, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় কাটান। শরীরে ভিটামিন ডি-৩ লেভেলের পরিমাণ বাড়ে নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে। তবে একদম কাঠফাটা রোদে না বেরিয়ে সকাল ৬টা-৮টা বা বিকেল ৪টে-৬টার মধ্য়ে বাইরে বেরোন। এতে অস্বস্তিও কম হবে। 

২) ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন সয়া মিল্ক, দুধ, দুধ জাতীয় খাবার, ডিম, টুনা মাছ, স্য়ামন ফিশ, চিজ, মাশরুম, ডিমের কুসুম খান। এছাড়া কারি পাতা, বাদাম, সবুজ তরকারি খান। 

৩) শরীরের ওজনের দিকে নজর দিন। দেখবেন যাতে ওজন খুব বেশি কমে না যায়। তাই সেভাবে খাবার খান যাতে শরীরের ওজন ঠিক থাকে। 

৪) রোদে বেরনোর সময়ে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্য়বহার করেন। কিন্তু অতিরিক্ত এসপিএফ-এর সানস্ক্রিন ব্য়বহার করলে র্সূযের আলো শরীরে লাগতে পারে না। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্য়বহার করবেন না।  

Share this article
click me!