বাজারে দুই ধরনের ডিম পাওয়া যায়। একটির রং সাদা। অন্য়টি বাদামি রঙের। ডিম এমনিতেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন থাকে। তাই ব্রেকফাস্টে অধিকাংশ মানুষই ডিম
খান। বিশেষত ডিম বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় বলেই এই খাবারটির এত রমরমা। নুডলস, কারি, বেকড ফুড, অমলেট, সেদ্ধ বিভিন্ন ভাবে ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য কোন ডিম ভালো এই নিয়ে অনেক রকমের মতামত রয়েছে।
অনেকেই মনে করেন সাদা ডিমের থেকে ব্রাউন বা বাদামি ডিমই বেশি স্বাস্থ্যকর। এই ধারণার কারণ হল বাদামি ডিম অনেক বেশি দামে বিক্রি হয় সাদা ডিমের থেকে। কিন্তু দাম বেশি মানেই কি তার উপকারিতাও বেশি! বাদামি ডিম যে সাদা ডিমের থেকে বেশি উপকারী, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক নয়। কোন ডিমে বেশি উপকারিতা তা জানতে বেশ কয়েকটি গবেষণাও হয়েছে। কিন্তু কোনওটিতেই সেভাবে সাদা ডিম ও বাদামি ডিমের মধ্যে সেভাবে পার্থক্য দেখা যায়নি। ডিমের খোসার রংয়ের পার্থক্য় ছাড়া সেভাবে কোনও তফাৎ নেই বলে জানা গিয়েছে এক হেলথ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিজে ডিম রেখে খাচ্ছেন! জেনে রাখুন শরীরে দেখা দিতে পারে কী কী রোগ
সাদা ডিম ও বাদামি ডিমে যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়, সেগুলি হল-
১) সাদা ডিম ও বাদামি ডিমে রং ছাড়াও স্বাদেও সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
২) দুটি ডিমেই সমান পরিমাণ প্রোটিন, কোলেস্টেরল, ক্যালরি থাকে। যদিও বাদামি ডিমে ওমেগা ৩-এর পরিমাণ বেশি থাকে। যদিও সেটি সামান্যই বেশি থাকে। সাদা ও বাদামি, দুই ডিমের ১০০ গ্রাম অংশের মধ্যে ১৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
৩) দামের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ব্রাউন ডিম। কিন্তু তার মানেই যে সাদা ডিমের থেকে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি তা কিন্তু নয়। মানুষের ধারণা, বাদামি ডিম বেশি প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিতে ভরা।
৪) কোন ডিমের কী রং তার উপরে তার পুষ্টিগুণ নির্ভর করে না। বরং মুরগির ডায়েট বা সেই মুরগি কেমন খাবার খায় ও তার স্বাস্থ্য কেমন তার উপরেই নির্ভর করে ডিমের মান কেমন হবে।