দক্ষিণ ভারতের যোগেই কি ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? ভেলোর, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ ভিনরাজ্য ফেরত রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, রোগী ও তাঁদের পরিজনদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে খড়গপুরের আইআইটি মেডিক্যাল কলেজে। পরীক্ষার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, ঘুরে দেখলেন হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অনেকেই। লকডাউনের জেরে সকলেই আটকে পড়েছিলেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে! মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে এখন ফিরে আসছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার ঘাটালের বাসিন্দা এক অ্যাম্বল্যান্স চালকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক রোগীকে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যান তিনি। ফেরার পর এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে রেলব্রিজ থেকে ঝাঁপ, খড়গপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা আরপিএফ জওয়ানের
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারত থেকে ফেরার পথে ওড়িশায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অ্যাম্বুল্যান্সকেও ছাড় দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। রোগীদের তো বটেই, তাঁদের পরিজনদেরও আইআইটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে আনা হয়েছে ১৪৬ জনকে। ওড়িশা সীমান্তে আটকে রয়েছে আরও শতাধিক রোগী ও তাঁদের পরিজনরাও। সকলেই বিশেষ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হবে পরীক্ষা। যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।