২৪ সেপ্টেম্বর নাসারপুর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ১৪ বছর বয়সী মীনা মেঘওয়ারকে। মিরপুর খাসে একইভাবে অপহরণের শিকার হয়েছেন আরেক কিশোরী। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৩.৫ শতাংশ।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ১৫ বছরের এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদ শহরে। মাত্র কয়েকদিন আগে তিন হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে জবরদস্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয় বলে অভিযোগ। অপহৃত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, হায়দরাবাদের ফতেহ চক এলাকা থেকে চন্দ্র মেহরাজকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে, তবে মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর নাসারপুর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ১৪ বছর বয়সী মীনা মেঘওয়ারকে। মিরপুর খাসে একইভাবে অপহরণের শিকার হয়েছেন আরেক কিশোরী। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৩.৫ শতাংশ। এই ইসলামী দেশে নিষ্ঠুরতা, হিংসা ও দমন-পীড়নের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। কিন্তু, গত বছর একটি সংসদীয় কমিটি দেশে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে খসড়া বিল প্রত্যাখ্যান করে।
একই শহরে রবি কুর্মি নামে এক হিন্দু অভিযোগ করেছিলেন যে তার স্ত্রী রাখীকে অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। উল্টোদিকে পুলিশ দাবি করেছে, রাখি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছায় এবং আহমেদ চান্দিওকে বিয়ে করেছেন। এই ঘটনায় কোনও জবরদস্তির ঘটনা ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের দাবি পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর একের পর এক নৃশংসতা চলছে। জুন মাসে, করিনা কুমারী আদালতে সাক্ষ্য দেন যে তাকে অপহরণ করে একজন মুসলিম পুরুষের সাথে বিয়ে করার পর তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এর আগে সাতারান অডি, কবিতা ভীল ও অনিতা ভীল নামে তিন হিন্দু মেয়ের সাথে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বিয়ে করতে অস্বীকার করায় খুন
গত ২১ মার্চ সাখরে বাড়ির বাইরে পূজা কুমারী নামে এক হিন্দু মেয়েকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি একজন পাকিস্তানি পুরুষকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন, যার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেই পাকিস্তানে
এর আগে, পাকিস্তানের তৎকালীন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হক কাদরি বলেছিলেন যে জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের কোনও পরিবেশ এখনও নেই। পাক সংবাদপত্র 'ডন'-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মন্ত্রী এমনকি দাবি করেছেন যে জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে আইনটি দেশে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে এবং সংখ্যালঘুদের আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।