মধ্যরাতের এই ঘটনার পর রবিবার বিকেলে ইমরান খান প্রথম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু শাসন পরিবর্তনে বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হল।
আস্থাভোটের হারের পর এখনও পর্যন্ত হার স্বীকার করেননি ইমরান খান। তবে মধ্যরাতে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম তিনি মুখ খুললেন। তবে সেখানেও তাঁর পুরনো মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রয়েছে। অন্যদিকে ইমরান খানের হারের পর তাঁর দল তেহরিক ই ইনসাফ পার্টি সোমবার জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারে বলেও সূত্রের খবর। সবমিলিয়ে ইমরান খানের বিদায়ের পরে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি পাকিস্তানের রাজনীতি। অন্যদিকে ইমরান খানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথের প্রস্তুতি প্রায় তুঙ্গে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই ৭০ বছকে শাহবাজ শরিফের।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে না পারায় ইমরান খান হেরে যান। তারপরই তড়িঘড়ি তিনি ইসলামাবাদ ছাড়েন। মধ্যরাতের এই ঘটনার পর রবিবার বিকেলেই তিনি প্রথম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু শাসন পরিবর্তনে বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হল। সর্বদা দেশের মানুষ তাদের সার্বভৌম্যত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে।'
এই অবস্থায় পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ৎাইয়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফ শপথ গ্রহণ করেন তাহলে তাঁর দলের বাকি সদস্যরাও আগামিকালের মধ্য গণইস্তফা দেবে। তিনি আরও জানিয়েছে, দূর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা কিছুতেই আসন ভাগ করে নিতে পারবেন না। তবে শেহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা এপ্রকার প্রায় নিশ্চিত। বিরোধীদলগুলি ইউমধ্যেই তাঁর পক্ষেই সায় দিয়েছে। তবে বিরোধী দলকে তিনি লুটেরা , গুন্ডা আর ডাকাত আখ্যা দিয়েছেন।
এদিন রাত ৯টা নাগাদ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে তিনি একটি বৈঠক করবেন। তারপরই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি পাকিস্তানের জনগের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলেও জানিয়েছেন। সেখান থেকেই স্পষ্ট হতে পারে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ছবিটা।
অন্যদিকে গতকাল সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করার জন্য ডেপিটি স্পিকারের রায়কে অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ইমরান খান সরকার। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় একপেশে রায়। এই রায় খারিজ করা জরুরি।
এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যরাতে পাকিস্তানের পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থ প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেননি।