ব্যয় সংকোচের পথে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার সেদেশে চাকরিক্ষেত্রে নতুন পদ, যানবাহন ক্রয়, একটি মাত্র সংবাদপত্র পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয় অন্যান্য খাতে ব্যয়ভার কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান সরকার। চলতি অর্থবর্ষে এই ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করাই হবে সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আইএমএফ-এর অধীনে থাকা ইমরান খান পরিচালিত তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের কাছে এখন সবথেকে চ্যালেঞ্জ হল বাজেটের ঘাটতির সঙ্গে মোকাবিলা করা। প্রসঙ্গত ২০১৮-'১৯ অর্থবর্ষে বাজেটের ঘাটতি কোনও ইতিবাচক ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। পাশাপাশি একদিকে বিরাট অঙ্কের ঋণ, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ইত্যাদি নান জ্বলন্ত সমস্যা রয়েছে পাকিস্তানে। তাই প্রথম থেকেই ইমরান সরকার চেষ্টা করে এসেছে য়ে কীভাবে খরচের ওপর লাগাম টানা যায়।
জি-৭ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী, উঠে আসতে পারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ
আর এবার নতুন চাকরির পদ বন্ধের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে মিটিং চলাকালীন চা- বা বিস্কুট জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করেছে পাক সরকার। এই ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই সরকারি দফতরগুলিতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে নুন্যতম এই সুযোগ-সুবিধাগুলি না দেওয়া হলে কর্মচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
মুর্খের রাজ্যে বাস করে আগুন নিয়ে খেলছে ভারত, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে খোঁচা পাক রাষ্ট্রপতির
তবে, সব সমালোচনা উপেক্ষা করে অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে শুক্রবার একটি অফিস মেমোরেন্ডাম জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ২০১৯-'২০ অর্থবর্ষের জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যা জলদি লাগু হবে। নতুন আদেশের অধীনে রয়েছে যথাক্রমে-
১) মোটর সাইকেল বাদে, যেকোনও ধরণের যানবাহনের কেনাকাটার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
২) উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে বাদ দিয়ে, কোনও যোগ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নতুন পদ সৃষ্টি নিষিদ্ধ করা হবে।
৩) এতদিন ধরে যেসব আমলারা একাধিক সাময়িকপত্র, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র পাওয়ার অধিকারী ছিলেন এবার থেকে তাঁরা একটি করে সংবাদপত্র পেততে পারবেন।
৪) প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টিং অফিসারদের (পিএও) যৌথভাবে দায়িত্ব দেওয়া হবে যাতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, জল ইত্যাদি যথাযথ ব্যবহার করা হয়।
৫) সমস্ত সরকারী কাজকর্মের জন্য একটি পাতার দুই পিঠই ব্যবহার করতে হবে।