মুক্তি পাওয়া পাঁচ সন্ত্রাসবাদীর আইনজীরিরা জানিয়েছেন আনফাস ট্রাস্টের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংক্রান্তবাদী গোষ্ঠী সংগঠনের কোবও সম্পর্ক নেই। এটি এসটিটি-এর ব্য প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছে।
সন্ত্রাসবাদীদের অর্থায়ন মামলায় (Terror Funding Case) পাকিস্তানের (Pakistan) একটি আদালত ছয় জনকে খালাস করে দিয়েছে। যে ৬ জনকে বেকুর খাসাল করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রধান ও ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদের (Hafiz Saeed) তৈরি করা জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ- দাওয়া (JuD) নামের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা। শনিবার লাহোরের একটি ট্রায়াল কোর্ট একই মামলায় চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে তারা হল - অধ্যাপক জাফর ইকবাল, সামিউল্লাহ, উমর বাহাদুর-এদের প্রত্যেককেই ৯ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ গিয়েছে। একই সঙ্গে দোষী সাব্যস্ক হওয়া আফিজ আব্দুল রহমান মক্কিকে মাত্র ৬ মাসের জন্য কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া পাঁচ সন্ত্রাসবাদীর আইনজীরিরা জানিয়েছেন আনফাস ট্রাস্টের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংক্রান্তবাদী গোষ্ঠী সংগঠনের কোবও সম্পর্ক নেই। এটি এসটিটি-এর ব্য প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছে। হাফিজ সইদ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নত সন্ত্রাসবাদী তালিকার রয়েছে। ২০১২ সাব থেকেই তার হাফিজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য ১০ লক্ষ মিলিয়ন পুরষ্কার প্রদান করার কথা রয়েছে।
Prosenjit Chatterjee: খাবার সরবাহ অ্যাপের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ, খোলা চিঠি মোদী-মমতাকে
US Music Festival: রহস্যজনক ঘটনা ব়্যাপ সঙ্গীতের আসরে, গান শুনতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৮
অন্যদিকে হাফিজের সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা আদালতে প্রমাণ করা যায়নি। তাই ৬ জনকি বেকুসুর খাসাল করে দেওযা হয়েছে বলেও জানিয়েছেস পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম। এই একই মামসায় মে মাসে মুক্তি পাওয়া লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত টেরর ফান্ডিং কেসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল তারা টাকা সংগ্রহ করে ও অবৈধভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন ও লস্কর ই তৈবারে আর্থিক সহযোগিতা করেছিল। এটি সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল থেকে তৈরি বলেও দাবি করা হয়েছে। সেই কারণে সই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
একই সঙ্গে লস্কর ই তৈবার সদস্য হাফিজ সাইদের বিরুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন শহর জুড়ে জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি অভিযোগ দায়ের করেছিল। যার মধ্যমে ৩৭ জনের বিচার শুরু হয়েছে। পকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে পাঁচটি মামলায় এখনও পর্যন্ত হাফিজ সাইদকে মোট ৩৬ বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছে। ২০১৯ সালে হাফিজকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। বর্তমানে সে লাহরের কোটলাখপত জেরে বন্দি রয়েছে।