সেমি ফাইনাল জয়ের আত্মসন্তুষ্টিতে যে ভুগতে নারাজ বাংলা দল তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবারই। রঞ্জি ফাইনালে পৌছনোর দিনই ফাইনালের জন্য দল ঘোষণা করল বাংলা। প্রতিপক্ষ গুজরাট অথবা সৌরাষ্ট্র যেই হোক তা নিয়ে ভাবতে নারাজ। নিজেদের শক্তি দিয়ে দল গোছাতে ও রণকৌশল ঠিক করতেই মঙ্গলবার দুপুরে সিএবিতে বৈঠকের পর আগেভাগে দল ঘোষণা করল বাংলার নির্বাচকরা।
আরও পড়ুনঃআইপিএল-এ কোন দল সবচেয়ে কিপটে থেকে দলগুলির প্লেয়ার লিস্ট, দেখে নিন একনজরে
ফাইনালের দলে বেশ কিছু রদবদল করেছেন নির্বাচকরা। মেগা লড়াইতে বাংলা দলে ফিরছেন বর্তমানে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধির ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতাও কাজে দেবে বাংলার। নিউজিল্যান্ড থেকে আগামী ৬ তারিখ শুক্রবার শহরে ফিরছেন ঋদ্ধি। তারপরেই বাংলার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এছাড়া চোটের কারণে দল থেকে বাদ দেওয়া হল ওপেনার ব্যাটসম্যান কৌশিক ঘোষকে। সেমিফাইনালেও খেলানো হয় নি কৌশিককে। ফাইনালের দলে জায়গা পেয়েছেন সুদীপ চ্যাটার্জী ও সুদীপ ঘরামি দুজনেই। ১৬ জনের দলে অতিরিক্ত উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যান হিসাবে রাখা হয়েছে অগ্নিভ পানকেও। এছাড়া বোলিং বিভাগ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। উইকেটের চরিত্র বুঝে নির্বাচন করা হবে দলের প্রথম একাদশ।
আরও পড়ুনঃখারাপ ফর্মের জের, টেস্টে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেও ২০ পয়েন্ট কমল বিরাটের
আরও পড়ুনঃসামনে আরও একটি ফাইনাল, তার আগে স্মৃতিতে বাংলার রঞ্জি জয়
তবে ফাইনালের লড়াই যে সেমির মত ততটা সহজ হবে না তা ভালই বুঝতে পারছেন বাংলার কোচ অরুণ লাল। কারণ প্রতিপক্ষ যেই হোক অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে হবে বাংলাকে। প্রতিপক্ষ রাজ্যের পছন্দের উইকেটে কার্যত লড়াই করতে হবে অনষ্টুপ, ঋদ্ধি, মনোজ, ঈশান, মুকেশদের।একইসঙ্গে বার বার বাংলার টপ অর্ডারের ব্যর্থতা চিন্তা বাড়িয়েছে বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের। শেষ কবে ভালো রান করেছেন তা প্রায় ভুলেই গিয়েছেন অভিষেক, অভিমন্যুরা। মনোজ, অর্ণব,কৌশিক, শ্রীবৎসরাও নিয়মিত রানে নেই। ফলে প্রতি ম্যাচে দলের পরিত্রাতা হিসাবে ব্যাটিং অর্ডারের রাশ টানতে হচ্ছে অনুষ্টুপ,শাহবাজদেরই। অন্যদিকে দলের সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র অবশ্যই পেস লাইনআপ। মুকেশ, ইশান, আকাশদীপ ও নীলকন্ঠকে দিয়ে সাজানো বাংলার পেস আক্রমণ এখন ভারত সেরা তা মানছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ফলে দলে ব্যাটিং অর্ডারে রানে ফেরা, ঋদ্ধি, মনোজদের অভিজ্ঞতা ও ঈশান-মুকেশ-আকাশ দীপদের আগুনে বোলিংয়ের উপরই ভরসা করে রঞ্জি জয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বাংলা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।