পিসিবি-র প্রস্তাব মেনে হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। বিসিসিআই-এর দাবিই বজায় থাকল। পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছে না ভারতীয় দল। রোহিত শর্মারা খেলবেন শ্রীলঙ্কায়।
বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ৩১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এবারের এশিয়া কাপ শুরু হবে পাকিস্তানে। সেখানে হবে ৪টি ম্যাচ। এরপর টুর্নামেন্ট সরে যাবে শ্রীলঙ্কায়। দ্বীপরাষ্ট্রে হবে বাকি ৯টি ম্যাচ। ওডিআই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ হবে ওডিআই ফর্ম্যাটে। এই টুর্নামেন্টে খেলবে ৬টি দল। আয়োজক দল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও খেলবে ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল। প্রথমবার এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে নেপাল। গতবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। ২০২২-এর এশিয়া কাপ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। এবার নিজেদের দেশে খেতাব ধরে রাখার চেষ্টা করবেন মাথিসা পাথিরানা, মাহিশ থিকসানারা।
এবারের এশিয়া কাপে লিগ পর্যায়ে ভারতের গ্রুপে আছে পাকিস্তান ও নেপাল। অন্য গ্রুপে আছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২ গ্রুপ থেকে সেরা ২ দল এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ড-রবিন পর্যায়ে যাবে। সুপার ফোর পর্যায়ের সেরা ২ দল ফাইনালে যাবে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, এশিয়া কাপ ২০২৩ হবে ৩১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এশিয়ান কাপে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল খেলবে। এশিয়া কাপে ১৩টি ম্যাচ হবে। এবারের এশিয়া কাপ হবে হাইব্রিড মডেলে। ৪টি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে এবং বাকি ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। এবারের এশিয়া কাপে ২টি গ্রুপ থাকবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে ২টি করে দল সুপার ফোর পর্যায়ে যাবে। সুপার ফোর পর্যায়ের সেরা ২ দল এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে।’
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এই ঘোষণার পর পিসিবি চেয়ারম্যান নজম শেঠি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব মেনে হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। এর ফলে আমি খুশি। এর অর্থ হল, এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে থাকছে পিসিবি। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ কেন্দ্র হিসেবে শ্রীলঙ্কায় হবে ম্যাচ। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে পারবে না বলেই এই ব্যবস্থা করতে হল। ১৫ বছর পর যদি ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলত, তাহলে আমাদের ক্রিকেটপ্রেমীরা খুশি হতেন। তবে আমি বিসিসিআই-এর অবস্থান বুঝতে পারছি। পিসিবি-র মতো বিসিসিআই-এরও সীমান্তে পেরিয়ে খেলতে যেতে হলে সরকারের অনুমতি দরকার।’
আরও পড়ুন-
রোহিতের বিকল্প অধিনায়ক নিয়ে ভাবনা? টেস্ট দলে হার্দিককে ফেরাতে উদ্যোগী বিসিসিআই
ওডিআই বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের জন্য নতুন স্পনসরের খোঁজে বিসিসিআই
WTC 2023: ব্যাটিং ব্যর্থতা, পরপর ২ বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হার ভারতের