কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ডি-র শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে নক-আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নক-আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া।
২০০৬ সালের পর ২০২২, ফের বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ ডি-র শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল সকারুজরা। ৬০ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ম্যাথু লেকি। সেই গোল আর শোধ করতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনরা। এই গ্রুপের শীর্ষে থাকল ফ্রান্স। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট ফরাসিদের। অস্ট্রেলিয়াও ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। কিন্তু গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে থাকল ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ১-৪ গোলে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে এই হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে টিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে্ হারিয়ে দেয় সকারুজরা। এই ম্যাচের ফলই শেষপর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টিউনিশিয়া জয় পাওয়ায় নক-আউটে যেতে হলে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততেই হত অস্ট্রেলিয়াকে। সেই কাজটা করতে সক্ষম হল সকারুজরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ৬ বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছ অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে ৬ বার তারা গ্রুপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। তবে এবার ভাল ফলের আশায় সকারুজরা।
গ্রুপ ডি-র দ্বিতীয় দল হিসেবে নক-আউটে যাওয়ায় গ্রুপ সি-র শীর্ষে থাকা দলের সঙ্গে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আর্জেন্টিনা যদি গ্রুপ সি-র শীর্ষে থাকে, তাহলে লিওনেল মেসিদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে সকারুজদের।
২০১০ সালের বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদয় নিতে হল ডেনমার্ককে। এই প্রথমবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পরপর ২ ম্যাচ হারল ড্যানিশরা। অন্যদিকে, তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ৪ বা তার বেশি গোল খেয়ে ম্যাচ হারের পরেও নক-আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে যুগোস্লাভিয়া এবং ২০০৬ সালে ইউক্রেন প্রথম ম্যাচে বিশ্রীভাবে হেরে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এই ২ দল পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছিল। সকারুজরাও সেই নজির গড়ল।
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম নক-আউটে পৌঁছে গেল। ওশেনিয়া মহাদেশের হলেও, এএফসি জোন থেকেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলে সকারুজরা। ফলে তাদেরও এশিয়ার দেশগুলির মধ্যেই ধরা হয়। এবার মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় পেলে সৌদি আরবও বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে যাবে। এশিয়ার অন্য ২ দল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করা খুব কঠিন। ইরান ও কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।
আরও পড়ুন-
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও, শেষ ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক টিউনিশিয়ার
বিশ্বকাপের মাঝেই ফের অসুস্থ, হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পেলে
ছিটকে গেল ইরান, নক-আউটে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল