জাপানে পৌছল অলিম্পিক মশাল, করোনা আতঙ্কে প্রশ্নে টোকিও ২০২০-এর ভবিষ্যৎ

  • গ্রীস থেকে জাপানে পৌছল অলিম্পিক মশাল
  • কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই হল মশালের হাতবদল
  • ২৬ মার্চ ফুকুশিমা থেকে শুরুর কথা মশাল ব়্যালি
  • করোনা আতঙ্কের কারণে অনিশ্চিত অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ
     

Sudip Paul | Published : Mar 21, 2020 6:10 AM IST

এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের অপর নাম করোনা ভাইরাস।  এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে  ২ লক্ষ  ৭৫ হাজার।  মৃত্য হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও এখনও যথাসময়েই অলিম্পিক হবে বলে জানানো হচ্ছে আইওসির তরফে। কিন্তু দিন কয়েক আগেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিটরা। কারণ, একদিকে নোভেল করোনা আতঙ্কে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ঘর থেকে না বেরোনার, সাবধনতা অবলম্বনের অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ে অলিম্পিক হলে তার প্রস্তুতি। এই দুই’য়ের মাঝে পড়ে নাজেহাল বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিটরা।  উদ্বিগ্ন অ্যাথলিটদের অভিযোগে রীতিমতো চিন্তায় আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস ব্যাচও। এরপরই অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো হয়। এই অনিশ্চয়তার পরিস্থিতির মধ্যেই প্রথা মাফিক অলিম্পিক মশাল গ্রীস থেকে পৌছল জাপানে।   

আরও পড়ুনঃএবার করোনা আতঙ্কে ভুগছেন পিভি সিন্ধু, সাইনা নেওয়াল সহ ভারতীয় শাটলাররা

এখনও ঘোষণা মতই  ২৪ জুলাই থেকে জাপানের রাজধানী শহর টোকিওয় শুরু হতে চলেছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক। করোনার কারণে অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা থাকলেও, যথাসময়েই আয়োজক দেশের হাতে অলিম্পিক মশাল তুলে দিল গ্রীস। টোকিও অলিম্পিকের জন্য বরাদ্দ বিশেষ সাদা বিমানে জাপানের দক্ষিণাংশে পৌঁছয় অলিম্পিক মশাল। তবে জাঁকজমকের সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠান নয়, হাতবদল অনুষ্ঠান হল চুপিসারেই। বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কেবল আয়োজক কমিটির কয়েকজন সদস্য। উপস্থিত ছিলেন দেশের দুই বিখ্যাত অলিম্পিয়ান। কুস্তিতে তিনবারের সোনাজয়ী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অলিম্পিয়ান সাওরি যোশিদা। আর উপস্থিত ছিলেন জুডোয় তিনিবারের সোনাজয়ী তাদাহিরো নোমুরা। তারাই মশাল প্রজ্জ্বলনের জন্য গ্রীসের হাত থেকে গ্রহণ করেন মশাল শিখা। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ মার্চ  পর্যন্ত জাপানের দক্ষিণাংশেই রাখা থাকবে এই শিখা। ওইদিনই ফুকুশিমা থেকে শুরু হবে মশাল র‍্যালি।

আরও পড়ুনঃপ্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুকে সমর্থন বিরাট কোহলির, দেশবাসীকে সতর্ক ও সুস্থ থাকার পরামর্শ

আরও পড়ুনঃ'স্টে অ্যাট হোম' চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ক্রিস গেইলের, দেখুন কী করলেন ক্যারেবিয়ান তারকা

তবে করোনা আতঙ্কের জন্য মানুষ যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে তাতে সব কিছু সঠিকভাবে কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ শুধু অ্যাথলিটরা নয়, অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাপানের স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ অলিম্পিক হলে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে জাপানে। বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হবেন। ফলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাসের সমক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষে এত মানুষের দিকে নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। টোকিওর এক ব্যবসায়ী এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, মানুষের জীবন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজকদের সেটা ভাবা উচিৎ।
 

Share this article
click me!