এবছরের অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৪ জুলাই থেকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য তা স্থগিত করে দিতে হয়েছে। করোনা ভাইরাসের থাবায় আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। গত ৩০ মার্চ অলিম্পিকের পরবর্তী ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে জানানো হয়, আগামী বছর ২৩ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক। শেষ ৮ আগস্ট। এই ঘোষণার পর নতুন আশায় প্রস্তুতি শুরপ করেছিল বিশ্ব জুড়ে অ্যাথলিটরা। কিন্তু লিম্পিকের আকাশে হয়তো ফের দেখা দিতে পারে কালো মেঘ। এখনও পর্যন্ত পরের বছর নির্দিষ্ট সময়ে অলিম্পিক হবে তেমনটাই স্থির রয়েছে। কিন্তু একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বাড়াচ্ছে অলিম্পিক নিয়ে আশঙ্কা।
আরও পড়ুনঃকরোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই খুনের হুমকি পেলেন নোভাক জোকোভিচ
সম্প্রতি টোকিও দুই মিডিয়া সংস্থা টোকিওবাসীর মধ্যেই সমীক্ষা চালিয়েছিল। মোট ১০৩০ জনের মত সংগ্রহ করেছিল তারা। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে টোকিও প্রায় ৫২ শতাংশ লোক চাইছেন না যে আগামী বছরেও অলিম্পিক হোক। অলিম্পিক হওয়ার পক্ষে মত ৪৬ শতাংশ মানুষ। এই সমীক্ষার ২৮ শতাংশ মানুষ আবার একেবারেই চান না যে টোকিওতে অলিম্পিক হোক। তারা অলিম্পিক বাতিলের পক্ষে। গ্রেটার টোকিও মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৭৪ লক্ষ। সেখানে ১০৩০ জনের মতের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে পৌছনো সঠিক নয় ঠিকই, কিন্তু এই আভাসকে একেবারেই ছোটভাবে দেখছে না জাপান অলিম্পিক কমিটি।
আরও পড়ুনঃআইসোলেশন ভেঙে পার্টিতে জার্মান টেনিস তারকা আলেকজান্ডার জেরেভ,নেট দুনিয়ায় নিন্দার ঝড়
এই প্রথম নয়, এর আগেও টোকিওবাসী অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার আগেও, অলিম্পিক স্থগিত রাখা বা বাতিল করার পক্ষে সওয়াল করেছিল। তাদের ভয় ছিল বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এই অবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্লেয়ার,কোচ,সাপোর্টিং স্টাফ এরা টোকিওতে এলে সংক্রমণ বাাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেই একই যুক্তিতে এবারও অনেকই চাইছেন না পরের বছর জুলাই মাসে অলিম্পিক আয়োজন হোক। অলিম্পিক পিছোলেও বাতিলের ভাবনা আপাতত নেই আয়োজকদের। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মতামতও একই। তিনিও অলিম্পিক বাতিলের পক্ষে একেবারেই নয়। তিনি বলেছিলেন,‘অলিম্পিক এমন ভাবে আয়োজন করতে হবে,যাতে বোঝানো যায়, সারা বিশ্ব এই অতিমারী কাটিয়ে উঠেছে।’