১৯০৫ সালে জমিদার গোপাল চন্দ্র চৌধুরী শুরু করেন জাঁকজমকপূর্ণ পুজো গঙ্গা পাড়ের গ্রামে। এখানকার দুর্গোৎসবের নাম মানিকচক দিয়ারা সার্বজনীন দুর্গাপুজো। তবে এলাকায় বেশি পরিচিত 'ভাঙনের দুর্গা' নামে। গত তিন দশকে চারবার স্থান বদল হয়েছে এই দুর্গাপুজোর। প্রতিক্ষেত্রে এর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গঙ্গা ভাঙন। অতীতে এমন বেশকিছু এলাকায় দুর্গাপুজো হয়েছে যেসব এখন নিশ্চিহ্ন। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যায় গ্রামের স্থায়ী দুর্গা মন্দির। পুজো সরিয়ে আনা হয় খানিক দূরে বেচুটোলা গ্রামে।
ভাঙনের গ্রাসে এরপর পুজো সরে আসে পালপাড়া এলাকায়। ক্রমে সেসব এলাকাও নিশ্চিহ্ন হতে শুরু করে। এরপর দুর্গাপুজোর ঠিকানা হয় হাড্ডাটোলা গ্রামে। দেবী দুর্গার পুজো স্থায়ী হয়নি এখানেও। শেষে ২০১৫-২০১৬ সাল থেকে পুজো সরে আসে বর্তমান জোতপাট্টা এলাকায়। কখনও আমবাগান, কখনও ফাঁকা মাঠে প্যান্ডেল খাটিয়ে দুর্গাপুজো হয়েছে। এরপর স্থানীয় সুহৃদয় ব্যক্তি সুভাষ মন্ডলের দান করা জমিতে তিল তিল করে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী দুর্গামন্দির।