অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, গোধনপাড়া হাসপাতাল ও অন্য হাসপাতালেও অসুস্থদের ভর্তি করা হয়। কাশেমনগরের এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকরা খাওয়া-দাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই জানা যায় ফুচকার বিষয়টি।
ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি ৭০ জন। অসুস্থদের মধ্যে ১০ জন শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের কাশেমনগরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসাধীন সকলের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফুচকা বিক্রেতা লালন শেখকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালন শেখ ওই এলাকার পরিচিত মুখ। প্রায়ই তাঁর কাছ থেকে ফুচকা খান গ্রামের বাসিন্দারা। সেই মতো তাঁর দোকান থেকেই ফুচকা খেয়েছিলেন কাশেমনগর সহ আশপাশের বাসিন্দারা। এরপরই একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। শুরু হয় পেটে ব্যথা। অনেকে ঘন ঘন বমিও করতে শুরু করেন। প্রথম দিকে এই বিষয় নিয়ে কেউই বিশেষ গুরুত্ব দেননি। কিন্তু, পরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গ্রামের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, গোধনপাড়া হাসপাতাল ও অন্য হাসপাতালেও অসুস্থদের ভর্তি করা হয়। কাশেমনগরের এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকরা খাওয়া-দাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই জানা যায় ফুচকার বিষয়টি। দেখা যায়, যাঁরাই ফুচকা খেয়েছে তাঁরাই অসুস্থ পড়েছেন।
আরও পড়ুন- ভাটপাড়ায় বোমাবাজির জের, জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা অর্জুনকে
আরও পড়ুন- ভবানীপুরের গুরুদ্বারে জনসংযোগে ‘ঘরের মেয়ে’, কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাস মমতার
স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশোভন সাহা বলেন, "প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে দেখা যায় এক এক করে যাঁরা ফুচকা খেয়েছেন তাঁরাই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতে শুরু করেন। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।" বিডিও মহম্মদ ইকবাল রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সেই জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাসীর মনে। অনেকেই জানিয়েছেন, ওই দোকান থেকে প্রায়ই ফুচকা খাওয়া হত। কিন্তু, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা কেউই বুঝতে পারছেন না।