BJP Leader Shantanu Thakur made Explosive comments in public
ঘরে পাইরে চাপের মুখে পড়ে কার্যত যেন নাজেহাল অবস্থা বঙ্গ বিজেপি-র। এদিকে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির পর ইতিমধ্যেই দলের সমস্ত সেল-গ্রুপ ভেঙে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি-র নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহে যেন বিজেপি-র গ্রুপ ছাড়ার ঢল নেমেছে দলেরই একাধিক শীর্ষ নেতাতেদর মধ্যে। যা নিয়ে চাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এমতাবস্থায় সময় যত গড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো প্রকাশ্যে আসছে। রাজ্য কমিটি তৈরি করা নিয়ে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শনিবার আরো জোরালো করলেন বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। কার্যত বিজেপির সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন তিনি। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক চাপানউতর।
‘সময় হলেই সময়ে বোম ব্লাস্ট করব’, এদিন বিজেপির সাংগঠনিক এক নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। শনিবার একাধিক বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট অতিথি নিবাসে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বৈঠক শেষে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, বিজেপির যে রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিতে যেমন মতুয়াদের জায়গা দেওয়া হয়নি ঠিক তেমন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা রয়েছে তাদেরকেও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কিংবা সুযোগ দেওয়া হয়নি কমিটিতে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলের বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা যারা বিজেপিকে এই রাজ্যে 40 শতাংশ পর্যন্ত জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে তাদেরকে রাজ্য কমিটিতে কোনভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে শান্তনু ঠাকুর এর প্রশ্ন, রাজ্যে বিজেপি তাহলে কি আবার শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে।
আরও পড়ুন- অভিষেক ইস্যুতে কল্যাণ-অপরূপা তরজা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের, আক্রমণ নির্বাচন কমিশনকেও
শান্তনু ঠাকুর এদিন সাফ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গোটা বিষয়টা তুলে ধরবেন তিনি। বর্তমানে যেহেতু পাচ রাজ্য নির্বাচন রয়েছে সে কারণে কেন্দ্রীয় নেতারা এখন ব্যস্ত রয়েছেন। তবে আগামী দিনে এইভাবে রাজ্য কমিটি তৈরি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করবেন তারা। প্রসঙ্গত এই দিনের বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে ছিলেন চার বিধায়ক। এছাড়াও বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সায়ন্তন বসু রিতেশ তেওয়ারি সহ আরও অন্যান্য বিজেপি নেতারা। এর আগেও শান্তনু ঠাকুর এর বাড়িতে বৈঠকে বসে ছিল রাজ্য বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির কাছে রাজ্য বিজেপির কমিটি গঠন নিয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানাবেন তারা। সেই রাস্তাই এবার ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।