মুর্শিদাবাদের জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ফলের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। জামানত জব্দের আশঙ্কায় ঘুম ছুটছে বিরোধীদের, একাধিক বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি কংগ্রেসের।
মুর্শিদাবাদের জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ( Assembly constituencies in Murshidabad ) ফলের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। এদিকে কংগ্রেস ও বাম শিবিরে হতাশার সুর শোনা গিয়েছে সামশেরগঞ্জে (Samserganj)। 'শাসকদলের বাধা পেয়ে আমরা বহু জায়গায় বসতে পারিনি ,এজেন্ট দিতে পারিনি', খেদ বিজেপির (BJP)। জামানত জব্দের আশঙ্কায় ঘুম ছুটছে বিরোধীদের, একাধিক বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি কংগ্রেসের (Congress)।
আরও পড়ুন, BJP-র ৫ বিধায়কের দলত্যাগ, 'এবার দল ছাড়লে কী পরিণতি হবে', বাকিদের বোঝালেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা
ভবানীপুর উপনির্বাচনের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জোড়া জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট মিটতেই শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে হার জিতের জোর হিসেব-নিকেশ। সেক্ষেত্রে আশার কোনও আলোয় দেখছে না বিরোধী শিবির বলেই সূত্রের খবর। ভোটের দিনই কংগ্রেস ও বাম শিবিরে হতাশার সুর শোনা গিয়েছে সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের। বামেরা সামশেরগঞ্জে জামানত রক্ষা করতে পারবে কি না তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা নেতৃত্বের। সামশেরগঞ্জে ৩২৯টি পোলিং স্টেশনের মধ্যে মাত্র ৫০-৫৫টি বুথে তারা এজেন্ট দিতে সক্ষম হয়েছিল। সব এজেন্টদের মধ্যে সক্রিয়তাও দেখা যায়নি। নিমতিতা, চাচণ্ড ও ধুলিয়ান শহরের কয়েকটি বুথে তারা প্রচার করেছিল। কিন্তু ভোটের দিন ওই এলাকাগুলিতে নেতাদের ময়দানে নামতে দেখা যায়নি। স্থানীয় এক বাম নেতা মন্টু শেখ বলেন,' আমাদের ভোট বাড়বে। তবে জয়ের আশা খুব বেশি নেই। তবে আমরা লড়াই করব ।'
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের জের, আজ প্রবল বর্ষণ উত্তরবঙ্গে, পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায়ের পূর্বাভাস
বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ বলেন,'আমরা বহু জায়গায় বসতে পারিনি ,এজেন্ট দিতে পারিনি কারণ শাসকদল নানানভাবে বাধা দিয়েছে আমাদের। সব বুথে এজেন্ট দিতে পারিনি।' সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস টক্করের দিকে চেয়ে রয়েছে সকলে। দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে এদিন ভোট মিটতেই। কংগ্রেস প্রার্থী জৈদূর রহমান বলেন, তৃণমূল এই কেন্দ্রে সকাল থেকেই সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে। ওদের তাণ্ডবে কয়েকটি বুথে এজেন্ট দিতে পারিনি। না হলে আমাদেরকে রক্ষা সম্ভব নয় তৃণমূলের পক্ষে। সামশেরগঞ্জ এর মাটি কংগ্রেসের মাটি"।তৃণমূল প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, মানুষ তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। মাঠ ফাঁকা ছিল। কোথাও বিরোধীদের দেখতে পাইনি। কংগ্রেস কী বলছে জানি না। তবে সব জায়গায় মানুষ কেবল আমাদের কেই ভোট হয়েছে"। পাশাপাশি জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়েও বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব যৌথভাবে আত্মবিশ্বাসী নয়। মোর্চার সমর্থিত দলের প্রার্থী জানে আলম মিয়া বলেন," জিতব কিনা জানি না। তবে লড়াই দিয়েছি। আমরা প্রচারও জোরকদমে করতে পেরেছি। রাজ্য নেতারা এসেও সভা করেছেন"।
আরও পড়ুন, Coal Scam: অভিষেকের অন্তবর্তীকালীন রক্ষা কবচ খারিজ, আইনজীবীর দাবি ওড়াল দিল্লি হাইকোর্ট
জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্র নিয়ে তারা এক সময় যথেষ্টই আশাবাদী ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোর কদমে ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু রাজ্যজুড়ে বিপর্যয় নামার পরেই দলের নেতারা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। প্রায় ৯০ এর অধিক বুথে তাদের এজেন্ট ছিল না বিরোধী বাম কংগ্রেসেরদের। তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, এখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। এই কেন্দ্রে আমরাই জিতব। কত ব্যবধান হবে সেটা নিয়েই আমরা অঙ্ক কষছি। সিপিএম নেতা সোমনাথ সিংহরায় বলেন, 'এদিন প্রশাসন সূত্রে পাওয়া শেষ খবর জানা যায়, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিরোধীদের। সে ক্ষেত্রে একাধিক বুথে ফের ভোটের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি,এই কেন্দ্রগুলিতে পুনরায় ভোট না করলে আগামী দিনে মানুষের গণতন্ত্র বলে আর কিছু থাকবে না।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা