শ্রাবণের প্রথম সোমবার, পুরুলিয়ায় করোনাবিধি মেনে চলল শিবের পুজো

করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছর থেকে শিব মন্দিরগুলিতে জল ঢালা বন্ধ রয়েছে। তবুও পুরুলিয়ার ঝালদা থানার বড়গ্রাম শিব মন্দিরে শ্রাবনের প্রথম সোমবার করোনাবিধি মেনে পুজো দিলেন ভক্তরা।

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2021 12:20 PM IST

আজ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। এদিন নিয়ম করে শিবের পুজো করেন ভক্তরা। পালন করেন সোমবারের ব্রত। এদিন রাজ্যের শিব মন্দিরগুলিতে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছর থেকে শিব মন্দিরগুলিতে জল ঢালা বন্ধ রয়েছে। তবুও পুরুলিয়ার ঝালদা থানার বড়গ্রাম শিব মন্দিরে শ্রাবনের প্রথম সোমবার করোনাবিধি মেনে পুজো দিলেন ভক্তরা।

আরও পড়ুন- মন ভালো নেই খাদ্যরসিকদের, দামের ছ্যাঁকায় পোস্তর স্বাদ ভুলতে বসেছেন অনেকেই

আরও পড়ুন- শিশুপাচারে জড়িত খোদ স্কুলের অধ্যক্ষ, গ্রেফতার একাধিক শিক্ষকও

মন্দিরের পুরোহিত রাজেশ মিশ্র বলেন, "করোনার কথা মাথায় রেখে মন্দিরে মাত্র পাঁচজন করে ভক্তকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই পুজো হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় ভিড় এবার অনেক কম।" ঝালদা শহরে ঢোকার আগেই রয়েছে ১০০ বছর পুরোনো বড়গ্রাম শিব মন্দির। এছাড়া একই ছবি দেখা গিয়েছে ঝালদা বেনা বাঁধ শিব মন্দিরেও। সব মিলিয়ে করোনাবিধি মেনে পুরুলিয়ার সব জায়গাতেই শিবের পুজো করেন ভক্তরা।

 

আরও পড়ুন- কলাগাছের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও হেরোইন লুকিয়ে পাচারের ছক, ফাঁস করল বিএসএফ

তবে জেলার বাকি মন্দিরগুলি খোলা থাকলেও বন্ধ রাখা হয়েছে বাগমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়ের লোয়ার ড্যামের কাছে অবস্থিত লহরিয়া শিব মন্দির। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সেই মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর এদিন নিয়ম করে এই মন্দিরে প্রচুর ভিড় হয়। কিন্তু, করোনার জেরে এবার মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র স্থানীয় কিছু পূজারী আজ পুজো দেন। পাশের গ্রামের কিছু ভক্তকেও মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাইরের ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। 

 

লহরিয়া শিব মন্দির কমিটির সেক্রেটারি সুরেশ চন্দ্র মাহাত বলেন, "প্রতিবছর দূরদূরান্তের পর্যটকরা শ্রাবণ মাসে অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে এলে লহরিয়া শিব মন্দিরে পুজো দেন। কিন্তু, গত বছর থেকে পর্যটকরা অযোধ্যা পাহাড়ে এলেও করোনাবিধির কারণে মন্দিরে পুজো দিতে পারেননি। এবারও সে নিয়মই বজায় থাকছে।"

Share this article
click me!