টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায়। জলের তলায় চলে গিয়েছে রেললাইনও। তার জেরে বাতিল করা হয়েছে ৫টি দূরপাল্লার ট্রেন। রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) সৃষ্টি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বেশ কিছু জেলায়। জলের তলায় রয়েছে একাধিক এলাকা। মন্দিরের (Temple) মধ্যেও প্রবেশ করেছে জল (Water)। এমনকী, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Natural Calamities) জেরে ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন। পাশাপাশি জলের তলায় চলে গিয়েছে রেললাইনও (Rail line)। তার জেরে বাতিল করা হয়েছে ৫টি দূরপাল্লার ট্রেন। রবিবার (Sunday) দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
যে ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে সেগুলি হল...
ট্রেন বাতিল (TRain Cancel) নিয়ে আজ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ের অন্তর্গত রেললাইনের উপরে জলের চাপ বাড়ার ফলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত। কিন্তু, যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- মিলেছে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত, ভাগীরথীর উপর সেতু সংস্কারের কাজ শুরু মুর্শিদাবাদে
অন্ধ্রপ্রদেশে টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিত্তুর, কাডাপা, নেলোর, অনন্তপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে জলের তলায়। ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাডাপা জেলায়। এই জেলার একশোরও বেশি বাড়ি জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের নিজেদের মধ্য়েই গোলা-গুলি', ক্যানিংকাণ্ডে তোপ দিলীপের
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। এ নিয়ে জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রাজ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। সেই সময় 'স্পেশাল ট্রেন' চালাচ্ছিল রেল। ফলে এই ট্রেনগুলির নম্বর সিস্টেমে যুক্ত করা সহ বিভিন্ন কারণে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম (PRS) আপডেট করা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণ সম্পন্ন হলেই রেল পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরই রেল পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অফিস, স্কুল, কলেজও খুলেছে। ফলে রেল চালু হওয়ায় যাতায়াতে সুবিধা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি বহু মানুষ। এরই মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় ফের বাতিল করা হল ৫টি দূরপাল্লার ট্রেন।