এলন মাস্কের (Elon Musk) টেসলা (Tesla) সংস্থাকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানালেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী , মহম্মদ গোলাম রব্বানী (Md Ghulam Rabbani)। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP) মনে করিয়ে দিল সিঙ্গুরে (Singur) টাটার (TATA) কারখানার কথা।
পশ্চিমবঙ্গে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Electric Vehicles) বিপ্লব হবে? রবিবার, টেসলা (Tesla) সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও এলন মাস্ককে (Elon Musk) বাংলায় তাঁর ব্যবসা স্থাপন করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা (Minority Development and Madrasa Education) দফতরের মন্ত্রী , মহম্মদ গোলাম রব্বানী (Md Ghulam Rabbani)। তবে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী বিজেপি (BJP) দলের পক্ষ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসই (TMC) ১৪ বছর আগে টাটা (TATA) সংস্থাকে বাধ্য করেছিল, পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর (Singur) থেকে ন্যানো গাড়ি প্রকল্প গুজরাতে সরিয়ে নিয়ে যেতে।
ভারতে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি শুরু করতে দারুণ আগ্রহী টেসলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থা গত বছরই এর জন্য ভারতে আমদানি শুল্ক হ্রাস করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে, কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রক (Heavy Industries Ministry) সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারতের মাটিতে তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি উত্পাদন করা শুরু করলে, তবেই তাদের আমদানী করে ছাড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। গত ১৩ জানুয়ারি টেসলার সিইও এলন মাস্ক টুইট করে জানিয়েছিলেন, এখনও তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন - Mysterious Light: আকাশে রহস্যময় আলো নিয়ে চাঞ্চল্য উত্তর ভারত জুড়ে, ভাইরাল হল ভিডিও
আরও পড়ুন - বিশ্বের তৃতীয় ধনপতি এলন মাস্কের শরীরেও করোনাভাইরাসের হানা, তাতেও থেমে নেই লক্ষ্মীলাভ
এরপরই মহারাষ্ট্র (Maharashtra) এবং তেলেঙ্গানা (Telangana) তাদের রাজ্যে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে ব্যবসা স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকেও গোলাম রব্বানি একইরকম আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এলন মাস্কের ১৩ তারিখের টুইটটির জবাবে, রব্বানি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবসায়িক পরিকাঠামো রয়েছে এবং এখানকার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। বাংলা মানেই ব্যবসা। তাই বাংলাতেই মাস্কের ব্যবসা স্থাপন করা উচিত।
এরপরই এই বিষয়ে রব্বানীকে চূড়ান্ত উপহাস করেন, বিজেপির আইটি সেলে ইনচার্জ তথা বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি বাংলার মন্ত্রীকে তাঁর নিজের দলের অতীত রেকর্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। টুইট করে অমিত মালব্য বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী যে এলন মাস্ককে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা তাঁর কাছে রসিকতা বলে মনে হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, মাস্ককে কি বাংলার সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বলা শুরু করা হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) রেকর্ড দিয়ে? আর শেষ করা হবে সহিংস সিঙ্গুর আন্দোলন (Singur Movement) দিয়ে?
গত কয়েক বছরে বাংলায় একের পর এক শিল্প সম্মেলন আয়োজন করেছে মমতা সরকার। অনেক শিল্প স্থাপনের কথা শোনা গিয়েছে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই ঘটেনি। তবে, তৃণমূলের দাবি, প্রথম ১০ বছরে তারা সামাজিক প্রকল্পের উপরে জোর দিয়েছিল। এইবার তাদের লক্ষ্য রাজ্যে শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান।