Durga Puja: ২৫০ বছর পুরোনো বর্ধমানের দে পরিবারে হরগৌরী রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা

বর্ধমানের বড়শুলের দে পরিবারে দেবী দুর্গা পূজিত হন হরগৌরী রূপে। প্রায় আড়াইশো বছর আগে দে পরিবারের জমিদারি ছিল, দামোদরে নৌ-বাণিজ্য সূত্রে দূর দূরান্ত থেকে বণিকরা আসতেন জমিদারবাড়িতে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 18, 2021 9:28 AM IST

বর্ধমানের বড়শুলের দে পরিবারে দেবী দুর্গা পূজিত হন হরগৌরী রূপে। প্রায় আড়াইশো বছর আগে দে পরিবারের জমিদারি ছিল। দামোদরে নৌ-বাণিজ্য সূত্রে দূর দূরান্ত থেকে বণিকরা আসতেন জমিদারবাড়িতে। 

আরও পড়ুন, ৩০০ বছরের পুরোনো বেড়া উৎসব পালন মুর্শিদাবাদে, মধ্যরাতে মায়াবী আলোয় মেতে উঠল নবাব নগরী

শাক্তমতে পুজো হওয়ায় বলিদান প্রথা চালু আছে

একবার তীর্থযাত্রীদের একটি দল গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে দামাদোর লাগায়া বড়শুলে ছাউনি করে। দে পরিবারে আশ্রয় নিতে আসে তারা। কথিত আছে, ওই তীর্থযাত্রী দলের একসাধুর ঝুলিতে ছিল অনেকগুলি মূর্তি। দে পরিবারের এক কিশোরী পছন্দ করে হরগৌরী মূর্তি। সেই থেকে দে পরিবারের মন্দিরে ঠাঁই পান হরগৌরী। তারপর থেকে নিয়মনিষ্ঠা সহযোগে হরগৌরীর পুজো হয়ে আসছে বড়শুলের এই জমিদার বাড়িতে। মূর্তির বিশেষত্ব, দেবাদিদেব শিবের কোলে আসীন মা দুর্গা। নেই মা দুর্গার বাহন সিংহ। নেই মহিষাসুরও। তার জায়গায় রয়েছে মহাদেবের বাহন ষাঁড়। নেই লক্ষ্মী ও সরস্বতীর বাহনও। তবে, কার্তিক ও গণেশ তাঁদের বাহন নিয়েই আসেন।শাক্তমতে পুজো হওয়ায় বলিদান প্রথা চালু আছে। সপ্তমীতে হয় ছাঁচি কুমড়ো বলি, অষ্টমীতে হয় ছাগ বলি, নবমীতে নয় রকমের ফল পুজো দেওয়া হয়। দে পরিবার ছাড়াও বড়শূলের প্রায় সমস্ত মানুষই এই পুজোয় অংশ নেন।

আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election:'তালিবান তো বাংলাতেই আছে', ভবানীপুরে 'গোপন প্রচার' নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

পুজো উপলক্ষে বসত জলসা, ধর্মীয় সংগীতের আসর, নাটক, কবিগান,কীর্তন ইত্যাদির আসর 

একসময় পুজো উপলক্ষে জলসা, ধর্মীয় সংগীতের আসর, নাটক, কবিগান,কীর্তন ইত্যাদির আসর বসলেও, এখন আর সেইসব হয় না। তবে, আজও ভাটা পড়েনি পুজোর কৌলিন্যে।প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপ বিদায় নিলেই ডাকের সাজে উমা মাকে দেখার অপেক্ষায় সবাই। কোভিডের দ্বিতীয় বর্ষ পেরিয়ে অজানা জ্বরে কোনও মায়ের কোল যেন শূন্য না হয়, দেবী দুর্গার থেকে এই আশীর্বাদ নিতেই চেয়ে আছে রাজ্যবাসী । আর এহেন পরিস্থিতিতে সাবেকি হোক কিংবা বর্ধমানের বড়শুলের দে পরিবারের মতোই ঐতিহ্যপূর্ণভাবেই হোক, একুশের উপনির্বাচন পেরোলেই একরাশ আনন্দ নিয়ে আসছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎকাল। 

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!