আসানসোলের ভানোরা খোলামুখ খনিতে খনিগর্ভে শাবল গাইতি নিয়ে চলছে অবাধে কয়লা লুট। সিবিআই বা ইডিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ভানোরা খোলামুখ খনিতে কাজ চলাকালীন অবৈধ ভাবে চলছে কয়লা কাটার কাজ।
তৃণাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান- এ ছবি হার মানাবে সিবিআই, ইডি, কোল স্ক্যাম টিম বা অন্যান্য এজেন্সিকেও। যেখানে সকাল থেকেই চিন্তিত রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা। কয়লাকাণ্ডে কখন কাকে ডেকে বসে ইডি। কার বাড়িতে পৌঁছাবে সিবিআই। ঠিক সে সময় আসানসোলের (Asansol) ভানোরা খোলামুখ খনিতে খনিগর্ভে শাবল গাইতি নিয়ে চলছে অবাধে কয়লা লুট (Illegal Coal Mining)। সিবিআই বা ইডিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের (Eastern Coalfield ltd) ভানোরা খোলামুখ খনিতে কাজ চলাকালীন অবৈধ ভাবে চলছে কয়লা কাটার কাজ।
শুধু তাই নয়। খনিগর্ভের rat whole-এ ঢুকে কয়লা কাটছে বহিরাগতরা। মাথার ওপর পাথর ও কয়লার চাঁই ঝুলছে। সেখানেই কয়লা কাটা হচ্ছে। বস্তায় ভর্তি করা হচ্ছে। খনির বাইরে জমা করা হচ্ছে। তারপর কেউ মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বা আবার পাচার করছে। তবে এর পুরোটাই হচ্ছে সরকারি অফিসারের সামনে। তাঁরা নাকি কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। প্রথমে ক্যামেরার লেন্স হাত দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করলেও পরে অবশ্য বলছেন এমন ঘটনায় ঘটেনি।
SCO Summit 2021: ইমরান খানের সামনেই পাকিস্তানের কফিনে পেরেক পুঁততে তৈরি নরেন্দ্র মোদী
ভারতে রয়েছে পাকিস্তান নামের একটি গ্রাম, বাসিন্দারা সবাই হিন্দু, জানতেন কি
সারা দেশের রুপি, অথচ বাংলায় ভারতীয় মুদ্রার নাম টাকা, জানেন কেন এই নামকরণ
এক আধিকারিক বলেন সিবিআই, ইডি হলে কি হবে? চুরি রুখতে গেলে মার খেতে হবে। এই দায়িত্ব ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষী এবং সিআইএসএফের। তারা তো কেউ খনিতে নামে না। কখনো সখনো চিৎকার করে। হ্যাট হ্যাট করে। কয়লা চুরি হচ্ছেই। সরকারি অফিসার তথা ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসার কী বলছেন। গোটা খনি জুড়ে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী দেখা না গেলেও অফিসার সাহেব বলেন যে তিনি তো আছেন। কয়লা চুরির বিষয় বলতেই উল্টে সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন কোথায় চুরি হচ্ছে?
প্রসঙ্গত- ইসিএলের ভানোরা খোলামুখ খনির কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক বেসরকারি কোম্পানিকে। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি লুটের প্রক্রিয়া আটকানোর দায়িত্ব রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের ওপরেই। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্য দিবালোকের ছবি প্রমান করছে কয়লা চুরি অব্যাহত। কয়লা খনিতে বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় সরকারি কাজ কিছুটা বন্ধ থাকলেও অবৈধ কয়লা উত্তোলন চলছে রমরমিয়ে। খনি অফিসে ম্যানেজার, সার্ভেয়ার, সুপার ভাইজার,নিরাপত্তা রক্ষী সবাই আছেন। এনারা সবাই সরকারি কর্মী। কিন্তু কেউ দেখতে পাচ্ছেন না কয়লা লুট হচ্ছে।