বুধবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থের জেল হেফাজতের আবেদন করেন। জানান, কিছু ব্যাপার এখনও তদন্ত করে দেখার আছে। তাই পার্থকে জেল হেফাজতেই পাঠানো হোক। কারণ মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থ। তবে পার্থের আইনজীবীর আরও দাবি, তাঁর মক্কেল দেশ ছেড়ে যাবেন না।
নতুন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইল না সিবিআই। বুধবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আগামী পাঁচই অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল পার্থকে। অর্থাৎ এই বছরের পুজোয় আপাতত জেলের হাওয়াই খাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক রায় স্থগিত রাখেন। পরে জানা যায়, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে।
বুধবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থের জেল হেফাজতের আবেদন করেন। জানান, কিছু ব্যাপার এখনও তদন্ত করে দেখার আছে। তাই পার্থকে জেল হেফাজতেই পাঠানো হোক। কারণ মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থ। তবে পার্থের আইনজীবীর আরও দাবি, তাঁর মক্কেল দেশ ছেড়ে যাবেন না। তাই শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাঁকে বাড়িতে রাখা হোক।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইডির মামলায় তাঁকে গৃহবন্দি রাখার সওয়াল করেছিলেন পার্থের আইনজীবী। বুধবার পার্থের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের বয়স ৭০ বছর। তিনি বলেন, ‘‘যদি ধরেও নেওয়া যায় সমস্ত তথ্যপ্রমাণই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যাবে তবুও এ টুকু তো ওঁর প্রাপ্য।’’
এর পর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আইনজীবী বলেন, ‘‘সিবিআই যে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাচ্ছে, সেটা ওদের পছন্দ মতো। কখনও ডাক্তারকে নিয়ে আসছে, কখনও নিজেদের পছন্দের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আমার আবেদন, বাড়িতে রেখে ওঁর চিকিৎসা করানো হক। কারণ, আরামদায়ক পরিবেশ ছাড়া চিকিৎসায় কাজ হয় না।’’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আরও বলেন পার্থের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্টের ধারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই পার্থের বিরুদ্ধে নেই।
পার্থের জামিনের আবেদন করে তিনি বলেন, ‘‘মুড়ি-মিছরির মতো সবাইকে একই সেকশন দিচ্ছে! সিবিআই পুলিশ হেফাজত না চেয়ে জেল হেফাজত চাইছে, এর অর্থ, ওঁরা আর আমার মক্কেলকে হেফাজতে চাইছেন না।’’ সিবিআইয়ের তরফে এই মামলায় ৪৬৭ ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয় আদালতের কাছে। তার বিরোধিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবী।
এর আগের দিন সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারকের সামনে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেন পার্থ। ভার্চুয়াল সওয়াল জবাবে বলেন “আমার বাড়িতে ৩০ ঘণ্টারও বেশি ছিল ইডি। কিছু পায়নি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি।” কাঁদো কাঁদো গলায় তিনি বলেন, ” আমিও আইনজীবী। এলএলবি ডিগ্রি আছে।”
বিয়ের ৮ বছর পরে স্ত্রী জানতে পারলেন স্বামী আদতে মহিলা- কোনও পুরুষ মানুষ নন
'নিয়োগপত্র পুরোটাই ঢপবাজি', রাজ্যসরকারকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের