র‌্যাগিং রুখতে দীক্ষা দাওয়াই, শিক্ষাক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন

  • র‌্যাগিং রুখতে দীক্ষা দাওয়াই
  • নতুন রীতি আনছে কেন্দ্র
  • শিক্ষাক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন
  • আনা হচ্ছে পরামর্শ নীতি

debojyoti AN | Published : Aug 28, 2019 6:31 AM IST / Updated: Aug 28 2019, 12:07 PM IST

আইনি পথে গিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রে র‌্যাগিং রুখতে এখন পুরাতনী পথে হাঁটছে কেন্দ্র। কলেজে-বিশ্ববিদ্য়ালয়ে চালু হচ্ছে গুরু-শিষ্য় পরম্পরা।

কলেজ,বিশ্ববিদ্য়ালয়ে র‌্যাগিং রুখতে তৈরি হয়েছে বহু কমিটি। কিন্তু বহুক্ষেত্রে আইনের বজ্র আঁটুনি পরিণত হয়েছে ফস্কা গেঁরোয়। নতুনদের সঙ্গে পুরোনোদের সখ্য়তা বাড়াতে এবার প্রাচীন পথে হাঁটছে মোদী সরকার। মঙ্গলবার খড়গপুর আইআইটিতে এসে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছেন,এবার থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে দীক্ষা রীতি চালু করবে সরকার। মূলত ,শিক্ষা ক্ষেত্রে র‌্যাগিং রুখতে দীক্ষা দাওয়াইয়ের ব্য়বস্থা করছে মোদী সরকার। 

আরও পড়ুন : রাম সেতু কি বানিয়েছিলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা, মন্ত্রীর প্রশ্নে চুপ খড়্গপুর আইআইটি

আরও পড়ুন : রামসেতু আমাদের পৃথিবীশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য়ে বিতর্ক

কী থাকবে এই দীক্ষা ব্য়বস্থায় ? কলেজ বা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে প্রবেশ করলেই ছাত্রছাত্রীদের 'দীক্ষা' দেওয়ানো হবে। শিক্ষক বা গুরুর কাছ থেকেই এই' দীক্ষা' পাবে পড়ুয়ারা। মূলত,এই দীক্ষা রীতি মেনে পুরোনো ছাত্রদের সঙ্গে নতুন ছাত্রদের পরিচয় করিয়ে দেবে বিশ্ববিদ্য়ালয় বা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরও কেউ র‌্যাগিংয়ের শিকার হলে থাকছে মিস কল দেওয়ার ব্য়বস্থা। নতুন ছাত্ররা হেনস্থার শিকার হলে সেই সংশ্লিষ্ট নম্বরে মিস কল দিতে পারবে। 

এখানেই শেষ নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে 'পরামর্শ' বলে একটি নীতি আনছে সরকার। যেখানে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিকটবর্তী ছোট প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরামর্শ দেবে। দেশে ভালো 
অধ্যাপকের চাহিদা মেটাতে পৃথিবার সবথেকে বড় অধ্য়াপক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করছে সরকার। পাশাপাশি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে ছাত্রছাত্রীদের দিয়েই জল  ও পরিবেশ সংরক্ষণের ব্য়বস্থা করা হবে।

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি পোখরিয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন ,'বিদেশে বেদ সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা হচ্ছে। অথচ আমরা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করছি না? ভগবান শংকর বিষপান করে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন। যদিও এই কথা এখনো বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারেনি, এই বিষয়কে গবেষণা করে প্রমাণ করার দরকার রয়েছে। বর্তমানে হিমালয় নীলকন্ঠ হিসাবে কাজ করছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর যে  বিষাক্ত বাতাস আসে হিমালয় সেগুলো কে গ্রহণ করে ফেলে।সেই বিষবাষ্প গ্রহণ করে নীলকন্ঠ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে পৃথিবীর কাছে।'

প্রশ্ন জাগে কী এই দীক্ষা ?  বাংলাপিডিয়া বলছে, দীক্ষা হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কারবিশেষ। গুরুর মাধ্য়মে শিষ্যকে বিশেষ কোনো দেবতার মন্ত্র দানকেই দীক্ষা বলে। সেই দেবতার উপাসনায় উপদেশ দানের নামই দীক্ষা, আর দীক্ষাদানকারী গুরুকে বলা হয় দীক্ষাগুরু। শক্তি,  শিব,  বিষ্ণু প্রভৃতির উদ্দেশ্যে যথাক্রমে শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব প্রভৃতি দীক্ষা প্রচলিত আছে। দীক্ষা শব্দের অর্থ এমন জ্ঞান যার দ্বারা দীক্ষাগ্রহণকারীর পাপক্ষয় হয়।

আরও পড়ুন : ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কায়দায় বাঁশি বাজালেই গরু বেশি দুধ দেয়, দাবি বিজেপি বিধায়কের

আরও পড়ুন : কর্ণাটকের প্রথমবার তিন-তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রী! বিজেপিকে তাড়া করছে পর্ণোগ্রাফি বিতর্ক

মঙ্গলবার খড়গপুর আই আই টি ৬৫ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ যাবতকালের সর্বাধিক পিএইচডি ডিগ্রি হস্তান্তরিত করা হয়েছে খড়গপুর আইআইটিতে। মোট ২৮০২ জন ছাত্রছাত্রীকে সম্মানিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৭২ জনকে পিএইচডি দেওয়া হয়েছে। সম্মান ত্রগুলি তুলে দেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক , খড়গপুর আই আই টি-র বোর্ড অফ গভর্নরের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও উপাচার্য শ্রীমান কুমার ভট্টাচার্য। 

Share this article
click me!