ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং পুলিশ প্রশাসনের তরফে সমুদ্র স্নানের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই ছুটি কাটাতে এসে সমুদ্র স্নান না করেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে বহু পর্যটককে।
করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কম জেলায়। আর তাই ১৫ অগাস্টের আগে ফের পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেল দিঘার সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু, ছুটি কাটাতে এসে পর্যটকদের আনন্দটাই মাটি করে দিল দিঘার সমুদ্র। আবহাওয়া ঠিক থাকা সত্ত্বেও সমুদ্র স্নান করতে পারলেন না অনেকেই। স্নান করে পাড়ে বসেই সমুদ্র দর্শন করলেন তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছে দিঘায়?
মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করেছেন দিঘায়। ১৫ অগাস্টের ছুটি কাটাতেই দিঘায় ভিড় করেছেন তাঁরা। আর দিঘায়ে গিয়ে সমুদ্রে স্নান করবেন না এটা কখনওই হয় না। তাই সকাল সকাল সমুদ্র যান অনেকেই। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তাঁদের আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। দেখা যায় সমুদ্রের জল ঘোলা। পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে কাদামাটি। কাদা থাকায় পাল্টে গিয়েছে জলের রং।
আরও পড়ুন- শুটআউট খড়দায়, তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
সমুদ্রের এই রূপ দেখে মন খারাপ হয়ে যায় অনেকেরই। কয়েকজন আবার ওই কাদা জলের মধ্যেই স্নান করতে নেমে পড়েন সমুদ্রে। কিন্তু, কয়েকজনকে আবার পাড়ে বসেই সমুদ্র দর্শন করতে দেখা যায়। যদিও কী কারণে সমুদ্রে কাদা দেখা দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- বাসের ধাক্কায় তছনছ বরযাত্রীর গাড়ি, ফলতায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ ৫
আরও পড়ুন- অস্বস্তি চরমে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, আজ ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং পুলিশ প্রশাসনের তরফে সমুদ্র স্নানের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই ছুটি কাটাতে এসে সমুদ্র স্নান না করেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে বহু পর্যটককে।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসে দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় হবে বলে আগে থেকেই অনুমান করেছিল প্রশাসন। আর সেই কারণে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সব সৈকত শহরেই আগে থেকে শুরু হয় পরিকল্পনামাফিক নজরদারি। জেলা এবং ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফেও সমুদ্র সৈকতে চলছে এই নজরদারি। হোটেলগুলিতে করোনাবিধি ঠিকঠাক অনুসরণ করা হচ্ছে কি না এবং সৈকতগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করা হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংক্রমণ কমলেও নজরদারি এখনই শিথিল হবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এই কড়াকড়ি নিয়ে খুশি ছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু, তার মাঝেই সব মাটি করে দিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এল মাটি। তাতেই মন খারাপ পর্যটকদের।