Kali Puja 2021- মহাপীঠ কিরীটেশ্বরীর টানে মুর্শিদাবাদের কালীপুজোয় ভিন রাজ্যের ভক্তদেরও ভীড়

পুরাণ খ্যাত মহাপীঠ মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীর  টানে অমাবস্যার রাতে কালীপুজোয় দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। মুর্শিদাবাদের কোনায় কোনায় জড়িয়ে রয়েছে অজানা ইতিহাসের সম্ভার, সেই সম্ভারের অন্যতম হলো দেবীর ৫১ পীঠের   কিরীটেশ্বরী।  

Asianet News Bangla | Published : Nov 3, 2021 4:05 AM IST / Updated: Nov 03 2021, 10:16 AM IST

পুরাণ খ্যাত মহাপীঠ মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীর  টানে (Kali Pujo of Kiriteswari ) অমাবস্যার রাতে কালীপুজোয় দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। মুর্শিদাবাদের ( Murshidabad )কোনায় কোনায় জড়িয়ে রয়েছে অজানা ইতিহাসের সম্ভার। সেই সম্ভারের অন্যতম হলো দেবীর ৫১ পীঠের   কিরীটেশ্বরী। আর সেখানেই মায়ের মন্দিরের কালীপুজো উপলক্ষ্যে অপেক্ষা করে থাকেন আপামোর ভক্তকুল। জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিন জেলা থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজ্য থেকেও অগনিত ভক্তের (Devotees) সমাগম হয় কিরীটেশ্বরী মন্দির চত্বরে (Kali Pujo 2021 Kiriteswari )।

মুঘল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল

আরও পড়ুন, Tiger Attack- হার মানল বন্ধুরাও, সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর

 সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কিরীটেশ্বরী মায়ের পুজো, যাগযজ্ঞ চলে। জানা যায়,কিরীটেশ্বরী মন্দির হল হিন্দু শাক্ত মতের পবিত্র তীর্থপীঠগুলোর অন্যতম। এই মন্দির সম্ভাব্য মুর্শিদাবাদের প্রাচীনতম মন্দির। দেবীর নাম অনুসারে গ্রামের নামও হয়েছে কিরীটেশ্বরী। পুরাণ  অনুসারে এখানে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর কিরীট অর্থাৎ মুকুটের কণা পতিত হয়েছিল। এইজন্য এই স্থানটিকে মহাপীঠ বলে। শক্তিপীঠ নামাঙ্কিত স্থানগুলিতে সতীর দেহের নানান অংশ ও অলঙ্কার প্রস্তুরীভূত অবস্থায় রক্ষিত আছে। পীঠস্থানে আছে দেবী দুর্গা বা পার্বতী এবং ভৈরব অর্থাৎ ওই দেবীর স্বামী শিবের বিভিন্ন রূপ। শাক্তমতে এই স্থান একটি প্রাচীন মহাপীঠ হিসেবে প্রসিদ্ধ।মুঘল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল। আঠারো শতকের শেষে ফার্সি ভাষায় রচিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ রিয়াজ-উস-সালাতিন থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পুরাণের ভৌগোলিক বিবরণ ব্রহ্মাণ্ড অধ্যায়ে কিরীটকোণার উল্লেখ্য পাওয়া যায়। 

১৪০৫ সালে আদি দক্ষিণমুখী মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল

আরও পড়ুন, Weather- পারদ নেমে শীতের আমেজ বাড়ল কলকাতায়, তুষারপাতের সম্ভাবনা হিমাচল প্রদেশে
১৪০৫ সালে আদি দক্ষিণমুখী মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল বলেও জানা যায়। আদি মন্দিরটি বর্তমানে লুপ্ত। গ্রামের দক্ষিণ অংশের কয়েক বিঘা জায়গা জুড়ে  কিরীটেশ্বরীর বর্তমান মন্দির এবং আরও কয়েকটি মন্দির অবস্থিত। আঠারো শতকের প্রথম দিকে পশ্চিমমুখী বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণ করান কানুনগো বঙ্গাধিকারী দর্পনারায়ণ রায়। মন্দিরের গর্ভগৃহে বিগ্রহ নেই, মন্দিরের ভিতরে একটি মর্মরবেদীর ওপর কালো পাথরের পীঠিকা। সম্ভবত তার উপর ছিল দেবীর কিরীট।বর্তমানে ওই কিরীট গ্রামের একধারে ‘গুপ্তমঠ’ নামে একটি মন্দিরে লাল রেশমি কাপড়ে মুড়ে সেটি একটি কলসে রাখা আছে। কিরীটেশ্বরী মন্দিরের সেবাইত দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, কিরীটেশ্বরীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব থেকে শুরু করে ভক্তির দিক দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অমূল্য। তাই মনস্কামনা পূরণ করতে কালীপুজোর দিন মায়ের পুজো দিতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এরইমধ্যে করোণা বিধিনিষেধ চালু থাকায় যাবতীয় সর্তকতা অবলম্বন করে মহাপীঠ এই কিরীটেশ্বরী তে কালীপুজোর রাতের অমাবস্যায়  ভক্ত সমাগমের ক্ষেত্রে নানান ধরনের স্বাস্থ্যবিধি গ্রহণ করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে পুজো"। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা দিবাকর দাস, অলোক ঘোষ বলেন,"   কিরীটেশ্বরী কেবলমাত্র কালীপুজোর জন্যই নয় এক মহা তীর্থস্থান হিসেবে ও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারের উচিত আগামী দিনে এই স্থানের উন্নয়ন ঘটানো। যথোপযুক্তভাবে এলাকাকে সংরক্ষণ করা"।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

Share this article
click me!