নবান্নের নির্দেশ, সৌন্দর্যায়নের জন্য ১০ কোটি টাকার আলোকসজ্জা মুর্শিদাবাদে

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে গ্রামীণ এলাকার হাটগুলিতে পথবাতি বসানো হয়েছিল। এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আলোকিত করা হয়েছিল। এবার আরও বেশকিছু এলাকা আলোকিত হবে। 

ইন্দো-বাংলা সীমান্ত ঘেঁষা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সৌন্দর্যায়নে নবান্নের নির্দেশে প্রায় ১০কোটি (10 Crore) টাকা খরচ করে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হাইমাস্ট লাইট (High Must Light) বসানো হবে। জেলা পরিষদ ও উচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠকের পরে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তার জেরে উৎসবের (Festival) মরশুমে বাড়তি খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে এলাকায়।

সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে মূলত ডোমকল, কান্দি, বেলডাঙা, ইসলামপুর, জলঙ্গি সহ বিভিন্ন এলাকার ১০০টি গ্রামে এই লাইট বসানো হবে। টেন্ডারের মাধ্যমেই শুরু হবে কাজ। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহনাজ বেগম বলেন, "জেলা পরিষদের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই লাইট বসানোর দাবি জানাচ্ছিলেন। বেশকিছু এলাকা রয়েছে যেখানে রাত পর্যন্ত লোকজন কাজ করেন। বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা। আলো না থাকায় অন্ধকারের মধ্যে দিয়েই তাঁদের যাতায়াত করতে হয়। যার ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। অবশেষে নবান্নের নির্দেশে ওই সব এলাকাগুলিতে পথবাতি (Street Light) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি হাইমাস্ট লাইট বসানো হলে অনেকটা এলাকা আলোকিত হয়। তাই এই ধরনের পথবাতি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

Latest Videos

আরও পড়ুন- দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি ক্ষমতা বিএসএফকে, মিটবে অনুপ্রবেশের সমস্যা, দাবি সুকান্তর

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে গ্রামীণ এলাকার হাটগুলিতে পথবাতি বসানো হয়েছিল। এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আলোকিত করা হয়েছিল। এবার আরও বেশকিছু এলাকা আলোকিত হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাদের জমানায় প্রতিটি গ্রাম বদলে গিয়েছে। প্রতিটি পাড়ায় পাকা রাস্তা হয়েছে। সব জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে পানীয় জল। শুধু রাস্তার ধারে পথবাতি বসানো বাকি ছিল। সরকার গ্রামের বাসিন্দাদেরও শহরের সুবিধা দিতে চাইছে। সেই কারণেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- পুজো মিটতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাঁকুড়ায়, আক্রান্ত ৮

যদিও এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, "এর ফলে নবান্নের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতারা কাঠমানি খাওয়ার নতুন সুযোগ পেল। বরাদ্দ হওয়া টাকা সব খরচ করা হবে না। সেই টাকার কিছু অংশ নেতাদের পকেটেও যাবে। দু’দিন আলো জ্বলার পর তা বিকল হয়ে যাবে। তখন আর তা সরানো হবে না।" তবে এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পথবাতি বসানোর পর তা দেখভাল করার জন্য নির্দিষ্ট সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কোথাও আলো না জ্বললে তারা ব্যবস্থা নেবে। টেন্ডারের সময় তা সংস্থাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন- উত্‍সবের মরশুমে জ্বালানির জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ, আরও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম

তবে হাইমাস্ট আলোর বিল কারা মেটাবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কারণ প্রায় ১০০টি হাইমাস্ট পথবাতির বিল দিতে হলে জেলা পরিষদের বিপুল টাকা খরচ হবে। তাই ইলেক্ট্রিক বিল পঞ্চায়েত না পঞ্চায়েত সমিতিগুলি মেটাবে তা নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

Share this article
click me!

Latest Videos

দেবের সামনেই! ঘাটালে TMC-র শত্রু TMC! Dev ও শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি | Ghatal | Dev |
২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
Sukhendu Sekhar কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে? জল্পনা উস্কে যা বললেন Agnimitra Paul
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today