আজ থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। ধর্মঘটে সামিল ৫০০-র বেশি ট্যাঙ্কার। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা সহ নদিয়া জেলার একাংশে এর জেরে তীব্র তেল সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ নতুন করে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার না বেরনোয় পাম্পগুলিতে পরিষেবা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোল ও ডিজেলের আকাল দেখা দিতে পারে। কারণ আজ থেকে হাওড়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল পেট্রোল এবং ডিজেল সরবরাহ। অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে পেট্রোল পাম্পগুলিতে।
আজ থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। ধর্মঘটে সামিল ৫০০-র বেশি ট্যাঙ্কার। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা সহ নদিয়া জেলার একাংশে এর জেরে তীব্র তেল সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ নতুন করে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার না বেরনোয় পাম্পগুলিতে পরিষেবা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাম্পগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত ছিল তারপর থেকে আজ আর নতুন করে তেল ভরা হয়নি।
ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে নতুন টেন্ডার ডাকা হয়। তাতে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬০টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় লোকাল ভাড়া ২৮০০ থেকে এক ধাপে অনেকটা কমিয়ে ২১০০ টাকা করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে সামিল হল ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন- 'বেশি টিকা যাচ্ছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে, বঞ্চিত বাংলা', মোদীকে চিঠি মমতার
পাম্প মালিকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, "আজ রাত থেকেই কলকাতা এবং হাওড়ার পাম্পগুলি ড্রাই হতে শুরু করবে বলে মনে হচ্ছে। সকাল থেকে হাওড়ার মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কার মালিকরা পেট্রোল এবং ডিজেলের গাড়িগুলি রিফিল করেননি। ফলে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার একাংশে তেল সরবরাহ করা যায়নি।"
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর গড়ে ভাঙন, নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ শতাধিক কর্মীর
আরও পড়ুন, ওড়নার আড়ালেই চলত মাদক পাচার, বারুইপুরে ১ কোটি টাকার হেরোইন সহ গ্রেফতার মহিলা
এদিকে এই ধর্মঘটের জেরে ১৯৬টি গাড়ি সম্পূর্ণ বসে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের পাশাপাশি সব ইউনিয়নই এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চ্যাটার্জি বলেন, "প্রায় ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ভাড়াও কমিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। দাবি না মানলে আমাদের আন্দোলন চলবে।"এই দাবি মিটলেই তবেই তাঁরা ট্যাঙ্কার চালাতে সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলনের ফলে বন্যা এবং করোনার মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা। তবে কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করবে বলে আশাবাদী ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।