রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আগেও একাধিক বক্তব্য শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের গলায়। কেউ বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নন সহজপাঠের রচয়িতা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আবার কারও মতে রবীন্দ্রনাথের জন্ম বীরভূমে। আর এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন করলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার বীরভূমে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। আর সেখানেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালো ছিলেন, সেই কারণে ছোটোবেলায় তাঁকে কেউ কোলে নিত না।
তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আগেও একাধিক বক্তব্য শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের গলায়। কেউ বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নন সহজপাঠের রচয়িতা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আবার কারও মতে রবীন্দ্রনাথের জন্ম বীরভূমে। আর এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন করলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
বিশ্বভারতীয় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সেন্ট্রাল হলে সুভাষ বলেন, "পরিবারের অন্য সদস্যদের তুলনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গায়ের রং কালো ছিল। সেই কারণে তাঁর মা ও অন্য কেউ তাঁকে কোলে নিতে চাইতেন না।"
আরও পড়ুন- নজরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা, রায় ঘোষণা আজ
তিনি আরও বলেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের অন্য সদস্যরা খুবই ফর্সা ছিলেন। ফর্সা সাধারণত দুই প্রকারের হয়। একজন দেখবেন একদম টকটকে হলুদ। আর একজন হচ্ছে ফর্সার মধ্যে একটু লালভাব থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গায়ের রং দ্বিতীয় ধরনের ছিল। তাই তাঁর মা এবং বাড়ির অনেকে তাঁকে কোলে নিতেন না। তাঁকে কালো বলে মনে করতেন। আর সেই মানুষটিই ভারতবর্ষের হয়ে বিশ্ববিজয় করেছেন।" এদিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঠাকুরবাড়ির বর্ণ বৈষম্যের বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- নবান্নের সামনে বেতনবৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষকদের, আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করল পুলিশ
আর সুভাষ সরকারের এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, "তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আর সেই কারণেই তাঁরা তাঁকে অপমান করছেন। সুভাষ সরকার কোথা থেকে এগুলি জেনেছেন? তিনি কি রবীন্দ্রনাথের আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন? এই ধরনের মানুষের জন্যই আজ দলের (বিজেপি) এই অবস্থা হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন- নেই পর্যটক, অযত্নে-অবহেলায় এ কী হাল বিখ্যাত হাজারদুয়ারির, দেখুন ছবি
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয়েছে তখন এই বিষয়টি নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তিনি বলেন, "ঠাকুরবাড়িতে কাউকে কোলে নেওয়া হত না। ওভাবে কোলে করে আদর করার প্রথা ছিল না। দাসদাসীদের কাছে থাকতেন, মা একটু আদর করতেন। শিক্ষামন্ত্রীর মুখে এই কথাগুলি শুনে ভয়ঙ্কর হাসি পাচ্ছে।"