লালগোলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই শুক্রবার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লাস থ্রি-এর এক ছাত্রী জাহিদা খাতুন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের (Adults) পাশাপাশি এবার 'স্ক্রাব টাইফাসে' (Scrub Typhus) আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা (Children)। মুর্শিদাবাদে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। লালগোলায় (Lalgola) স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই শুক্রবার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লাস থ্রি-এর এক ছাত্রী জাহিদা খাতুন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে (Lalbagh Sub Divisional Hospital)।
জাহিদার বাবা কাজের জন্য বর্তমানে চেন্নাইতে (Chennai) রয়েছেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এক সপ্তাহ ধরে জ্বর (Fever) ও পেট ব্যথায় (Abdominal pain) ভুগছিল জাহিদা। অবশেষে তাকে স্থানীয় কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে জাহিদার মা মুসলেমা বিবি বলেন, "মেয়ে ভালোই ছিল। হঠাৎ করে ওর জ্বর হয়, তারপর শুরু হয় পেটে ব্যথা। তাই আর দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করি। কৃষ্ণপুর হাসপাতালে দু'দিন থাকার পর ওখান থেকে তাকে লালবাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।"
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সফরের দিনেই অঘটন, সীমান্তে BSF-র গুলিতে মৃত্যু ৩ গ্রামবাসীর
এই ঘটনা প্রসঙ্গে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, "কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে জাহিদা খাতুনকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার শরীরে জ্বর ছিল। কিন্তু, সেই জ্বর কিছুতেই কমছিল না। তারপর রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায় যে সে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছে।"
আরও পড়ুন, Ajay Kumar Bhalla: আজই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, BSF-র ইস্যুতে জরুরি বৈঠক
মুর্শিদাবাদে হু হু করে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি নারায়ণপুরের খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাড়ে চার বছরের সারবানু ইয়াসমিন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়। তাকেও লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই ভালো রয়েছে। এখন অবশ্য হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতেই রয়েছে সে।
এর বছর দুয়েক আগে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে নবগ্রামে এলাকার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের মনে। সেখান থেকে একেবারে সীমন্তবর্তী রামনগর এলাকায় ওই রোগ দেখা দেওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বেড়ে গিয়েছে।
জেলায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন লালগোলার বিএমওএইচ মহম্মদ মফিজুল বলেন, "জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোনও রোগী হাসপাতালে এলেই আমরা তার শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছি। তাছাড়া ব্লকের আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে এলাকায়।"