১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খুলতে চলেছে। স্কুল-কলেজ খোলার আগেই ৬ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিল এসএফআই।
স্কুল-কলেজ খোলার আগেই ৬ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিল এসএফআই (SFI submits deputation)। ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ ( School and College) খুলতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে রাজ্যে স্কুল খোলার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের (State Government) সিদ্ধান্তই বহাল রাখল আদালত। সেই পরিস্থিতিতে মূলত ৬ দফা দাবী নিয়ে এদিন হাওড়া জেলা শাসকের (Howrah DM) অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছে হাওড়া জেলা এসএফআই (Howrah SFI)।
এদিন হাওড়া জেলা শাসকের অফিসে ডেপুটেশনে কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানানো হয়েচে। পাশাপাশি, ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া, পরিবহণ খরচ মকুব, ভর্তির ফিস কমানো, আসনের সংখ্যা বাড়ানো, শিক্ষার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ও সর্ব ভারতীয় মেডিক্যালে ভর্তির নীট পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এদিন ডেপুটেশান দিতে এলে তাঁদের পুলিশ ব্যারিকেড করে রুখে দেয়। সেখানেই বসে পড়ে শ্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পরে চারজন সদস্য জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশান জমা দিতে যান।প্রসঙ্গত, অনেক আগেই স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছিলেন, ভাইফোঁটার পর যদি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে তারপরই সব স্কুল খোলা হবে। এখন অবশ্য রাজ্যে দৈনিক করোনার গ্রাফ (Daily Corona Cases) আগের থেকে অনেকটাই নিম্নমুখী। তাই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে স্কুল খোলার তারিখ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানানো হয়েছিল, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালু হবে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে। সকাল সাড়ে ন'টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত নবম ও একাদশ শ্রেণি এবং ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া হবে। করোনাবিধি মেনেই স্কুল চলবে বলে জানানো হয়েছিল।
এদিকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়াই রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে। তাঁর মতে, পড়ুয়াদের এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা দেওয়া হয়নি। এভাবে পরিকল্পনা ছাড়া স্কুল খুললে, ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এদিকে, স্কুলে এসে কোনও ছাত্র-ছাত্রী যদি সংক্রমিত হয়, তার দায়িত্ব নেবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলার আগে অভিভাবকদের কাছে এমনটাই বার্তা পাঠাল শহরের অধিকাংশ স্কুল। কিছু স্কুল নোটিস দিয়েও অভিভাবকদের সতর্ক করে দিয়েছে। আর এখানেই নিয়েছে বিতর্কের বীজ।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে