তৃণমূলে থাকাকালীন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পেতেন তিনি। কিন্তু, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পর ১৮ মে তাঁর সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। আর রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ফেরত চেয়ে ২১ জুন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন তিনি। এই মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় যে, জেড ক্যাটাগরির পাশাপাশি তাঁকে নতুন করে রাজ্যের তরফে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন- 'শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক'এর জেরে বিপাকে সলিসিটর জেনারেল, মোদীকে চিঠি দিল তৃণমূল
২১ জুন আবেদনপত্রে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ১৮ মে তাঁর রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান তিনি। কেন তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল? এর জেরে কি তাঁর জীবনের ঝুঁকি বেড়েছে? জানতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে তিনটি ক্ষেত্রে তাঁর এখনও পর্যান্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন। পাইলট কার, রুট লাইনিং ও সভাস্থলে নজরদারির জন্য রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা চাই তাঁর।
আরও পড়ুন- স্বৈরাতান্ত্রিক শাসন কায়েমের চেষ্টা করছে সরকার', বিস্ফোরক শুভেন্দু
এর আগে শুভেন্দুর রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চেয়ে মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলাকারী একজন বিরোধী দলের নেতা। তাঁর প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পান। এই নিরাপত্তা তাঁর জন্য যথেষ্ট। রাজ্যের এই যুক্তি শোনার পরই আজ এই মামলার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চ। জানানো হয়, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব আবেদনকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেহেতু আবেদনকারী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন, তাই রাজ্য সরকারকে এখনই অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে না।
আরও পড়ুন- দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে প্রবেশ নিষিদ্ধ, পুরসভার পোশাক ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক
যদিও শুভেন্দুর আইনজীবীর তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, শুভেন্দু জেড ক্যাটগরির নিরাপত্তা পেলেও বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে যেতে হয়। সেই সব জায়গায় রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, তাঁর সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। বরং জেড ক্যাটাগরির পাশাপাশি শুভেন্দুকে নতুন করে রাজ্যের তরফে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।