করোনা পরিস্থিতিতে সংকটে মুর্শিদাবাদের মিষ্টি ব্যবসা, কপালে হাত ছানা সরবরাহকারীদের

মাঠে ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না। মাটিতে ফাটল না ধরলেও সবুজ ঘাস যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় গোয়ালারা মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। কারণ মাঠে ঘাস না পেয়ে ধানের জমিতে নেমে পড়ছে গরু। তা নিয়ে ঝামেলাও হচ্ছে। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 17, 2021 10:41 AM IST

মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত ছানা মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুধ-ছানা সহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। মিলছে না গরুর খাবারও। ফলে কান্দি এলাকায় সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার গোয়ালা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এলাকার হাজারের বেশি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মহকুমার গোয়ালারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠে ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না। মাটিতে ফাটল না ধরলেও সবুজ ঘাস যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় গোয়ালারা মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। কারণ মাঠে ঘাস না পেয়ে ধানের জমিতে নেমে পড়ছে গরু। তা নিয়ে ঝামেলাও হচ্ছে। আবার গরুর প্রধান খাবার খড় ও খোল পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার বিধিনিষেধের জেরে বাইরে থেকে খড়ের গাড়ি আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকায় খড় মজুতও নেই। আবার যাঁদের কাছে খড় মজুত রয়েছে তাঁরা চড়া দামে বিক্রি করছেন।

আরও পড়ুন- গলা টিপে ধরে বৃদ্ধাকে মারধর, জোর করে আবাস যোজনার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

স্থানীয় গোয়ালা দূর্যোধন ঘোষ বলেন, "৯০ থেকে ১২০ টাকা মন প্রতি দাম দিয়েও খড় পাওয়া যাচ্ছে না। আবার মুদির দোকানে খোলা থাকলেও গরুর খোল, চালের খুদ সহ অন্যান্য খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের কাছে রয়েছে তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। এই অবস্থায় গরুর দেখভাল করতে গিয়ে প্রত্যেকে হিমশিম খাচ্ছেন।"

আরও পড়ুন- মাওবাদী পোস্টারে লেখা 'হরিবোল', কিষণজির হত্যার বদলা নিতে চেয়ে হুমকি জঙ্গলমহলে

এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকার প্রধান দুগ্ধজাত মার্কেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কান্দি নেতাজি বাস টার্মিনাসের অদূরে রয়েছে ছানা মার্কেট। সেখানে প্রতিদিন প্রায় বেশ কয়েক টন দুগ্ধজাত সামগ্রী বাইরের জেলা ও রাজ্যে রপ্তানি করা হত। তবে এখন ছানা মার্কেট ফাঁকা পড়ে থাকছে। ব্যবসায়ী বাপ্পা ঘোষ বলেন, "বর্তমানে ছানা মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চরম সংকটে পড়েছেন গোয়ালারা। যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করার কারণে বাইরে থেকে কোনও গাড়ি আসছে না। অন্যান্য জেলা ও রাজ্যগুলিতে সামগ্রীর চাহিদাও নেই। এলাকার মিষ্টির দোকানগুলি খোলা থাকলেও সেভাবে বিক্রি নেই। ফলে ছানার চাহিদা একেবারে নেই। গোপালকরা বাধ্য হয়ে গরুর দুধ ফেলে দিচ্ছেন।" এখন ব্যবসায়ীদের আবেদন, সরকার তাঁদের সমস্যার দিকে নজর দিক।

Share this article
click me!