নবান্নের সবুজ সঙ্কেতে 'দুই' দশকের মুর্শিদাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ভাগীরথী নদীর উপর নির্মিত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সংস্কারের কাজ শুরু। চলবে নতুন বছরের শুরুর কয়েক মাস পর্যন্ত।
নবান্নের (Nabanna)সবুজ সঙ্কেতে 'দুই' দশকের মুর্শিদাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ভাগীরথী নদীর (Bhagirathi River) উপর নির্মিত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সংস্কারের কাজ (Renovation Work) শুরু। চলবে নতুন বছরের শুরুর কয়েক মাস পর্যন্ত। বিশেষ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে (Renovation work of the bridge)।
অতীতে একাধিকবার সংস্কারের দাবি উঠলেও তা মানা হয়নি নানান কারণে। আটকে থেকেছে সরকারি লাল সুতোর ফাঁসের গেরোয়। অবশেষে নবান্নের তরফে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই মুর্শিদাবাদের উত্তরের শহর রঘুনাথগঞ্জের জঙ্গিপুরে ভাগীরথীর উপর নির্মিত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে পূর্ত দপ্তরের তরফে এক বিশেষ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই সংস্কারের কাজ চলবে আগামী নতুন বছরের কয়েক মাস পর্যন্ত বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়। পুরো বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে রয়েছে পূর্তদপ্তরের কলকাতা থেকে আগত একটি স্পেশাল দল। আর ওই তদারকি দলের সঙ্গে যুক্ত আছে জঙ্গিপুর পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরাও। সেতুর খুটিনাটি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে 'পকেট এরিয়ায়' ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারের করে বাকি কাজ হবে।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের নিজেদের মধ্য়েই গোলা-গুলি', ক্যানিংকাণ্ডে তোপ দিলীপের
এবিষয়ে জঙ্গিপুর পূর্তদপ্তরের (সড়ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন, আমরা নিয়মিত সেতুর অবস্থা পরীক্ষা করে দেখি। পরীক্ষায় যেটুকু ক্ষতি ধরা পড়ে তা সারিয়ে দেওয়া হয়। সেই সংস্কারের কাজই চালু হলো অবশেষে"।জানা গিয়েছে, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু জায়গায় ক্র্যাক, রেলিংয় খসে পড়া সহ ওয়েলডিং রিপেয়ারিংয়ের কাজ করা দরকার। ফুটপাতের স্ল্যাব, রেলিং সহ সেতুর দেওয়াল ও পিলার সহ কংক্রিট ফুটো করে দেখছেন পূর্ত দপ্তরের একদল প্রতিনিধি। সেতুর বিভিন্ন অংশে দীর্ঘক্ষণ তাঁরা পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। এই সংস্কারের কাজ চলবে আগামী বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত। যদিও, সেতুতে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, সেতুর মূল অংশের কয়েক ফুট গার্ডার উঠে গিয়ে লোহার পাত বেড়িয়ে গিয়েছে। গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। তাতে যানবাহন চলাচলেরও সমস্যা হয় বলে পথচারীদের অভিযোগ। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়া, ব্রিজে ওঠার উভয় প্রান্তের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী তা অবিলম্বে সারিয়ে তোলার দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০০১ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। ফলে উমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় এবং লালগোলা রাজ্য সড়কের সঙ্গে সংযোগের ফলে লালগোলা ও জেলা সদর বহরমপুরে যাওয়ার সুবিধে হয়। ফলে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ ও হাজারের অধিক ভারী যান চলাচল করে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গভীর রাতে সেতুর তলায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা দোকানে আগুন লাগলে, পূর্ব দিকের অংশের তিনটি পিলারের বেয়ারিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে সেইসময় পূর্তদপ্তর সেতুটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৪ সালে সেতুর ছয়টি গার্ডার বদলে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দাস, সাধন বিশ্বাস, শামসুদ্দিন সেখ সকলে বলেন,"ভাগীরথী নদীর উপর সেতুটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী ব্রিজ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের উত্তর অংশের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে এই ব্রীজ যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এই ব্রিজের স্বাস্থ্য দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে অবশেষে নবান্নের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমরা খুশি তবে এখন দেখার কত দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর হাল ফেরে।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে