ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবের পর প্রায় ৩ সপ্তাহ হতে চললো, কিন্তু এখনও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গাই রয়েছে জলের তলায়। এরমধ্যএই প্রচণ্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। স্বস্তির বৃষ্টি চাইছে বঙ্গবাসী। বর্ষা এলে ঠান্ডা হবে প্রকৃতীর প্রখর রূপ। আর বঙ্গবাসীকে সেই আনন্দ সংবাদই এবার শোনাল আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যে কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে। আগামী ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে এরাজ্যেও বর্ষার আগমন হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
অবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেলেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার তার গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হওয়ার কথা। আর এই নিম্নচাপের জেরে ওডিশা সহ অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।\
আরও পড়ুন: ইউরোপ ছাড়া বাকি বিশ্বের পরিস্থিতি উদ্বেগের, এবার করোনার মূল কেন্দ্র হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া
নিম্নচাপের জেরে বুধবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। চলতি সপ্তাহজুড়েই দক্ষিণবঙ্গ সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। রাজ্যে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প প্রবেশের কারনেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে দুই বঙ্গে। তাই পপ্তাহন্তেই বর্ষার আগমন ঘটবে রাজ্যে এমনটাই অনুমান করছে মৌসম ভবন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা শহরে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাচ্ছে। গরমও অনুভূত হতে শুরু করেছে। সোমবার শহররে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আজ তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়তে পারে। আজ সর্বোচ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকেব ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতো রোদের তেজ অনুভূত হচ্ছে। অসহ্য গরমের কারণে ঝড়ছে ঘামও । তবে আজ বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুতসহ বৃষ্টি এবং সঙ্গে ঝড়েরও আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।