চাপের মুখে পড়ে শেষ অবধি পিছু হঠতে বাধ্য হল সিইএসসি  এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুতের বিল আপাতত জমা দিতে হবে না গ্রাহকদের  বিল জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে',জানালো সিইএসসি ঘোষণার পরেই 'কলকাতার জয়'  টুইট  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 

সিইএসসি-র পাঠানো বিল নিয়ে চলতি মাসে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কলকাতায়। অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সেলেব থেকে সাধারণ,প্রায় সব শ্রেণির গ্রাহক। রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যের শাসকরাও। পাশপাশি সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরাও। যার দরুণ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয়নি বা ন্যায্য বিলই পাঠানো হয়েছে বলে বার বার দাবি করে এসেও পিছু হঠতে বাধ্য হল সিইএসসি। 'কলকাতার জয়' সূচক টুইট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, কলকাতায় দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণ-ধ্বস ও প্লাবনের আশঙ্কা

Scroll to load tweet…


 চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে 'সিইএসসি' গ্রাহকদের উদ্দেশ্য়ে জানিয়েছে, 'এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুতের বিল আপাতত জমা দিতে হবে না গ্রাহকদের। শুধুমাত্র জুনের বিল জমা দিলেই চলবে। আর এই সুবিধা পাবেন সব শ্রেণির গ্রাহকরা।' রাজ্যের শাসকরা যে এই বিষয় নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ ছিলেন তা স্পষ্ট হল 'সিইএসসি' এর ঘোষণার পরেই। যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'কলকাতার জয়' সূচক টুইট করে বলেন, 'কলকাতার মোট ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে ২৫.৫ লক্ষ গ্রাহকের ছাড় দেওয়ার কথা সিইএসসি ঘোষণা করেছে। এখন, শুধুমাত্র জুনের প্রকৃত বিদ্যুৎ খরচের বিল জমা দিতে হবে। এপ্রিল এবং মে মাসের বিল বাবদ যে অঙ্ক জুনের বিলে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে। বিল জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।'

Scroll to load tweet…


প্রসঙ্গত বিদ্যুৎ বিলে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিললেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ' আমি আগে সিইএসসি-র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি। আমি সিইএসসি এর অফিসারদের জানিয়েছি, কী নিয়মে এবং কোন হিসেবে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে শনিবারের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।' এরপর চাপের মুখে সুর নরম হয় সিইএসসি-র। চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে। আপাতত এপ্রিল ও মে-র বিল স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে জুনের বিল দিলেই চলবে। সংস্থা বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'সমাজের কিছু অংশের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গত ২ মাসের অতিরিক্ত আপাতত দিতে হবে না। তবে চলতি মাসের বিল দিতে হবে। '

আরও পড়ুন, দুবার বলেও কাজ হয়নি, সিইএসসি-র উপর চটে লাল শোভন

উল্লেখ্য আগে সিইএসসি-র তরফে দাবি তোলা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়। তার ফলে বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল মিটার রিডিং নেওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ হয় তুলনামূলক বেশি। তাই অতিরিক্ত বিল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরাও বিক্ষোভে পাল্টা জানিয়েছিলেন যে, বছরের পর বছর একই বৈদ্য়ুতিক সামগ্রী ব্য়বহার করে চলতি বছর কেন তাহলে বিদ্য়ুতের বিলে এতবড় হেরফের হবে। তাই কোনও দিক থেকেই সংস্থার সেই দাবি ধোপে টেকেনি। বরং চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে সিইএসসি। 

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

 করোনা আক্রান্ত আরও ১৯ ব্য়াঙ্ক কর্মী, ট্রেনিং সেন্টারকে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র করার প্রস্তাব

 পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

 মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া

 অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের