ফি নিয়ে বড়সড় বিক্ষোভে ইস্ট -পয়েন্টের স্কুলের অভিভাবকেরা, উত্তেজনা সামাল দিতে ছুটল পুলিশ

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছে।  বেসরকারি কোম্পানিগুলিতে,অনেকের আবার কাজ থাকলেও বেতন কাটা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি শহরের নামীদামি বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ে  অভিভাবকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। আর এবার  অধিক ফি নেওয়ার অভিযোগে এবার বিক্ষোভে নামল ইছাপুরের  ইস্ট -পয়েন্টের স্কুলের অভিভাবকেরা। 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অধিক ফ্রি নেওয়ার অভিযোগে  ইছাপুর ইস্ট -পয়েন্ট  বেসরকারি  স্কুলের সামনে অবিভাবকেরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন। স্কুল অভিভাবকদের অভিযোগ , তাঁরা স্কুলের  ফি কমানো নিয়ে স্কুল কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে বসতে রাজি নন। ফলে দীর্ঘ তিন মাস লকডাউনের জেরে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতি তে দাঁড়িয়ে এই স্কুলের অনলাইন ক্লাসের ফি বাদে, তারা আর কোন বাড়তি ফি দিতে পারবেন না। তাদের দাবি, তাদের কাছ থেকে বাকি কোনও বাড়তি ফি যেন কোনওভাবেই না নেওয়া হয়। তবে অভিভাবকদের কোনও কথা শুনতে রাজি হননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার অবিভাবকেরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন  স্কুলের গেটের সামনে। স্কুলের গেটে নোটিশ দিয়ে  স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে রাখে।উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলের গেটের সামনে।  এই উত্তেজনার সামাল দিতে ছুটে আসে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।  

প্রসঙ্গত, করোনা আবহে রাজ্য তথা দেশজুড়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সবাই যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে বেতনের অধিকাংশ কমে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত মাত্রায় ফি বাড়ায় তা অভিবাবকদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে  ইতিমধ্য়েই ফি বৃদ্ধি সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদের পথে নেমেছে- দমদম সেন্ট মেরি এন্ড ডে স্কুল,  একে ঘোষ মেমোরিয়াল, নারায়নপুর সেন্ট জোন্স স্কুল, জিডি বিড়লা, তারাতলা নেচার পার্কের বিড়লা ভারতী স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল,অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুল, হরিয়ানা বিদ্যামন্দির, অশোক হাই সেকেন্ডারি স্কুল,  ক্যালকাটা পাবলিক স্কুল, বউবাজারের সেন্ট মাইকেল স্কুলের অভিভাবকরাও।