মায়ের ভাসান দেখে মন খারাপ নিয়েই কাঁদতে কাঁদতে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়েন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। ঘুমের মধ্যেই মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পান তিনি।
একবার বড় ছেলে প্রসন্ন-কে শ্যামাসুন্দরী পাঠিয়েছিলেন জামাই শ্রীরামকৃষ্ণকে নেমতন্ন করতে, রামকৃষ্ণ তখন দক্ষিণেশ্বরে থাকতেন।
দুর্গা যেহেতু তাঁদেরই সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ, তাই দেবতারা মনে করেছিলেন যে, অসুর বধ হয়েছে তাঁদেরই মিলিত শক্তিতে। শুধুমাত্র ব্রহ্মার বরের আধার হওয়ার জন্য একটি নারীদেহের প্রয়োজন হয়েছিল, সেই জন্যেই দুর্গাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
রবিবার মহাদশমী, জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে মাতল চন্দনগর। দশমীর পুজো শেষে মা কে বরণ করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে, শুরু হয়েছে প্রতিমা ভাসান, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮ টি ঘাট ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় সময় পরিবারের সব সদস্য নিজেদের পৈতৃক বাড়িত চলে আসেন ।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রয়েছে এক ইতিহাস। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেন। কুমারী মেয়ে রূপী জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
কৃষ্ণনগরে মা জলেশ্বরীর পুজো হয় মালোপাড়ায় (Malopara)। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন ধুনো পোড়া হয়। এদিন এখানে যার মানত পূরণ হয় তিনি গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে সরা নিয়ে বসেন মায়ের সামনে। সরার মধ্যে আগুন জ্বালানো হয়।
কাগ্রাম জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে ১১টি পারিবারিক পুজো ও ১২টি পুজো সর্বজনীন। সর্বজনীন বিভিন্ন পুজো কমিটির বাজেট এবার করোনা আবহে কমিয়ে আনা হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পূজার নিয়মটি একটু স্বতন্ত্র। দুটি প্রথায় এই পুজা হয়ে থাকে। অনেকে সপ্তমী থেকে নবমী দুর্গাপূজার ধাঁচে পুজা করে থাকেন। আবার অনেকে নবমীর দিনই তিন বার পূজার আয়োজন করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজা সম্পন্ন করেন।
প্রথমে অবশ্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়েছিলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চন্দননগরে বহাল থাকছে নাইট কারফিউ। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলবে।