মঙ্গলবার রাত ১২টারও পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক বোমা পড়ে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপির মদতে ও সিপিএমের সাহায্য নিয়ে আইএসএফ এভাবে সন্ত্রাস তৈরি করতে পারছে। তাদের প্রধান টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভাঙড় ২ ব্লকের ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একের পর এক জেলায় তুমুল অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গত দু'দিন ধরে তুমুল উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের অভিভাবক। তাই তাঁক সঙ্গে দেখা করে ভাঙড় নিয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই নবান্নে এসেছিলেন, জানিয়েছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
আইএসএফ-এর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে।
মহার্ঘ ভাতার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তিনিও সরকারি কর্মীদের সাথে অনশন শুরু করলেন বলে জানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
জামিন পাওয়ার পরেও শুক্রবারও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগাড়েই থাকতে হল নওসাদ সিদ্দিকিকে। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগাড় কর্তৃপক্ষ।
২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে আইএসএফ কর্মীদের। অন্যদিকে গত ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে মাঝেরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অপর এক আইএসএফ কর্মী আরাবুল মোল্লাকে।
গত শনিবার আইএসএফ-এর সভায় পুলিশের উপর পালটা আক্রমনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আলমগিরকে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার এরোয়ালি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।