পর্যটক ও ভক্তদের গাড়ি আটকে পুলিশকর্মীদের টাকা তোলার ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, সেই সঙ্গে উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন।
সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থেকে তারাপীঠে পৌঁছন প্রনবেশ ঘোষ ও প্রবীর ঘোষের পরিবার। তারাপীঠের দ্বারকা নদীর সেতু পেরিয়ে মুণ্ডমালিনী তোলা রাস্তা ধরে লজে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক টোটো চালক প্রণববাবুর গাড়িতে ধাক্কা মারে।
শারদীয়ার শুক্ল চর্তুদশীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যমে মা তারাকে স্বপ্নে দেখতে পান। সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তি দীর্ঘকাল মাটির নিচে ছিল। পরে বনিক জয়দত্ত সওদাগর সেই মূর্তি তুলে মা’কে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটিকেই মায়ের আর্বিভাব দিবস হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলহীন তারাপীঠে আজ কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যতিথি, সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল সামলাতে কড়া প্রহরা প্রশাসনের।
বীরভূমের জেলা সভিপতির পদে এখনও রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেকর নাম। কিন্তু প্রচার ফ্লেক্সে অধরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজত হতেই কার্যত মুছে ফেলা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা।
অনুব্রত বলেন, "আদালতকে আমি স্যালুট করব। সম্মান জানাব। আদালত যা রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব। আদালত যেভাবে বলবে সেভাবে আমি সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দেব। আইন আইনের পথে চলবে।"
রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই ৪ জানুয়ারি থেকে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। সেই মতো তারাপীঠের সমস্ত লজ বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল মন্দিরে ৫০ জন পুণ্যার্থীর বেশি কেউ থাকতে পারবেন না।
বছরের এই একটি দিন মায়ের কোন ভোগ হয় না। উপবাস থাকেন সেবাইতরাও।
কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভিড় করেন ভক্তরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটি।
করোনা অতিমারির কারণে এবারও কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।