কলকাতার সবকটি বাতিস্তম্ভ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনও বিদ্যুতের তার খোলা রয়েছে কিনা বা ফিডার বক্স খোলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা, CESC এবং পুলিশকে নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ টিম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণীঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এখনও ভারী বর্ষণ থেকে নিস্তার নেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে , চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, কী বলছে এই মুহূর্তে হাওয়া অফিস।
কৃষি দফতরের তরফে ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে কৃষকদের নিম্নচাপ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দফতরের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
ওড়িশার বিশের ত্রাণ কমিশন প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্কত ৬৮৮ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ গর্ভাবতী মহিলা।
'জাওয়াদের মতো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা দরকার', বলে বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রাজ্য-কেন্দ্রের সমন্বয়ের প্রসঙ্গ তুলে অন্যদিকে আবার ত্রাণ চুরির কথা বলছেন সুকান্ত মজুমদার ।
বাংলায় ঢোকার আগেই শক্তি হারাবে জাওয়াদ, কিন্তু ভরা কোটালের কারণেই বাড়ছে উদ্বেগ
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পুরীর উপকূলবর্তী কোনও এলাকাতও আছড়ে পড়তে পারে। রবিবার বিকেলে পুরী উপকূলে আছড়ে পড়ার পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
শনিবারই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদ । তাই দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্য়েই এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-র দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় আলু চাষের জন্য জমি তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছেন আলু চাষিরা। আলু চাষিদেরদের কাছে কৃষি দফতরের পরামর্শ জাওয়াদের দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর মাটি শুকোলে তবেই জমিতে আলুর বীজ বপন করুন।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় হাওড়া শহরের জন্যও কন্ট্রোল রুম চালু করছে হাওড়া পুরসভা। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দুটি হল ৬২৯২২৩২৮৭০ ও ৬২৯২২৩২৮৭১। আগামীকাল সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা।