হিমাচল প্রদেশে মোট ৬৮টি বিধানসভা আসন রয়েছে। যার মধ্যে ট্রেন্ডের কথা বললে ৩৬টি আসন বিজেপির ঝুলিতে যেতে দেখা যায়। একটু পিছিয়ে থাকলেও কংগ্রেসও এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে। এখন সবার চোখ আম আদমি পার্টির আসনের দিকে।

এই পরাজয় শুধু দিল্লি পুরনিগমের নয়, এর প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা দেশে। বিজেপি এটা ভালো করেই বুঝতে পারছে। এই কারণেই গেরুয়া শিবির তার সমস্ত শক্তি দিয়েছিল এই নির্বাচনে। তবে কোথায় খামতি রয়ে গেল, কোন পথে হেঁটে ভুল করল বিজেপি।

উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় রয়েছে ৭০টি আসন।  গাড়োয়াল এবং কুমায়ুন নিয়ে গঠিত এই রাজ্যের মূল আর্থিক বুনিয়াদ হল পর্যটন। হিমালয়ের নৈসর্গিক শোভা এই রাজ্যের অন্যতম ঐশ্বর্য। কিন্তু, ছবির মতো এই সুন্দর রাজ্যে আজও মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে বারবার বেগ পতে হয়েছে দলের ভিতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। 

উত্তর ২৪ পরগণার মোট ২৫টি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বনগাঁ পুরসভা, বারাসত পুরসভা, অশোকনগর পুরসভা, উত্তর দমদম পুরসভা, দক্ষিণ দমদম পুরসভা, দমদম পুরসভা, মধ্যমগ্রাম পুরসভা। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলায় ৬টি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। এগুলি হল বারুইপুর পুরসভা। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা, জয়নগর-মজলিপুর পুরসভা, ডায়মন্ড হারবার পুরসভা, মহেশতলা পুরসভা, বজবজ পুরসভা। 

মুর্শিদাবাদ জেলার ৭ পুরসভার এবার নির্বাচন হয়েছে। এগুলি হল জঙ্গিপুর পুরসভা, ধুলিয়ান পুরসভা, কান্দি পুরসভা, মুর্শিদাবাদ(সদর) পুরসভা, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা, বহরমপুর পুরসভা, বেলডাঙা পুরসভা। এদিকে নদিয়া জেলার ১০টি পুরসভায় এবার নির্বাচন হয়েছে। এগুলি হল নবদ্বীপ পুরসভা, কৃষ্ণনগর পুরসভা, রানাঘাট পুরসভা, তাহেরপুর নোটিফায়েত এরিয়া, শান্তিপুর পুরসভা, বীরনগর পুরসভা, কল্যাণী পুরসভা, হরিণঘাটা পুরসভা, চাকদহ পুরসভা, গয়েশপুর পুরসভা। 

অন্যান্য পুরসভার মতো এই পুরসভার মূল ইস্যু নাগরিক পরিষেবা। অতিমারির মধ্যে তুফানগঞ্জ পুরসভার কাজ নিয়ে সেভাবে খুশি নয় এই পুর এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও তুফানগঞ্জ শহরের মধ্যে এখনও অনেকটা এলাকা সেভাবে উন্নত নাগরিক পরিষেবা পায়নি। দেখলে মনে হবে এই সব এলাকা এখন যেন পঞ্চায়েত শাসনের মধ্যে পড়ে রয়েছে। 

একটা সময় উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর একটি জেলা হিসাবেই পরিচিত ছিল। সেই সময় পশ্চিম দিনাজপুর নামে এর পরিচিতি ছিল। নব্বই-এর দশকে জেলা ভাগ হওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তর দিনাজপুর নামে দুটি আলাদা জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এইবারের পুরভোটে দক্ষিণ দিনাজপুরের ২টি পুরসভা এবং উত্তর দিনাজপুরের তিনটি পুরসভার নির্বাচন হয়েছে। 
 

দার্জিলিং জেলার মধ্যে এই যাত্রায় মাত্র ১টি পুরসভাতেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। আর সেটি হল দার্জিলিং পুরসভা। অন্যদিকে মালদহে দুটি পুরসভায় ভোট হয়েছে। এই দুটি পুরসভা হল ইংরাজবাজার পুরসভা এবং পুরাতন মালদহ পুরসভা। 
 

কোচবিহার জেলার মধ্যে ৬ পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হয়েছে। এগুলি হল কোচবিহার পুরসভা, দিনহাটা পুরসভা, হলদিবাড়ি পুরসভা, মেখলিগঞ্জ পুরসভা, মাথাভাঙা পুরসভা এবং তুফানগঞ্জ পুরসভা। জলপাইগুড়ির মধ্যে তিনটি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এগুলি হল জলপাইগুড়ি পুরসভা, মাল পুরসভা এবং ময়নাগুড়ি পুরসভা। 

২০১৫ সালের নবদ্বীপ পৌরসভা নির্বাচনের ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩ টি ওয়ার্ড তৃণমূল ও একটি ওয়ার্ড সিপিএম জয়লাভ করেছিল বলে জানা যায়। এবারে ফলপ্রকাশের পর রাজনীতির জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকে নজর সকলের।