রাজ্যে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি শীতের দাপট চলছে শহর কলকাতাতেও। তবে আগামী চারদিন কলকাতার তাপমাত্রাও মোটের উপর শুষ্ক থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২০ তারিখের পর থেকে রং বদলাতে শুরু করবে আকাশ।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালীপনার জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব -পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বাংলায় প্রবেশের পথে বাঁধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। যার কারণে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা উর্দ্ধগামী হচ্ছে বলে মত তাদের। তার ফলে বড়দিনে কনকনে ঠান্ডা যে থাকবে না তা বলাই বাহুল্য।। তবে শীতের আমেজ বজায় থাকবে বলে মত আবহাওয়াবিদদের।
কেবল শীতের দাপটে নয় পাল্লা দিয়ে বইছে উত্তরে হাওয়া, পাহাড়েও জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বলেই আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রার পারদ আরও বেশ কিছুটা নামার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে।
কলকাতা (Kolkata) থেকে জেলা (District)। রাজ্য জুড়ে শীতের (Winter) দাপট। আগামি কয়েক দিনে কেমন থাকতে পারে আবহাওয়া জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস (Alipoor Weather Office)।
অন্যদিকে বর্তমানে কলকাতার(Kolkata) সঙ্গে জেলার পারদও নিম্নমুখী। আগামী দু থেকে তিন দিনের মধ্যেই একাধিক জেলার তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। নতুন করে শক্তিশালী হতে শুরু করেছে উত্তুরে-পশ্চিমী বাতাস।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে পারদ নামবেই। যে কারণে ভালোমতো শীতের আমেজ অনুভব করা যাবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দশমীর দিনেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দশমীর দিনও সকাল থেকেই আকাশের মুখভার থাকবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া এই জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলাগুলো দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া, বাঁকুড়া তে ভারি বৃষ্টি হবে। মৎস্যজীবীদের আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাছ ধরতে যেতে মানা করা হয়েছে।