মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর খবরে আচমকাই যেন বিষাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। প্রতিটি সংবাদপত্র এই খবর শিরোনাম করে। তবে এই খবর যে সম্পূর্ণ ভুয়ো ও গুজব, তা নিশ্চিত করেছেন খোদ অমর্ত্য কন্যা নন্দনা সেন।
অমর্ত্য সেন ১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান।
অমর্ত্য সেনের অমর্যদার প্রতিবাদ। শান্তিনিকেতনে নাটক মঞ্চস্থ লেখক শিল্পিদের। একগুচ্ছ প্রতিবাদ কর্মসূচি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
‘আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখছি। ওরা নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে!’ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু বলেন, ‘এই ঘটনা ভারতীয় গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার।’
১৫ দিনের মধ্যে ১৩ ডিসেমেল জমি ছাড়তে নোটিশ বিশ্বভারতীর, নাহলে উচ্ছেদের হুমকি অমর্ত্য সেনকে। বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের নামার হুমকি অধ্যাপকদের।
অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠাল বিশ্বভারতী। শুনানি হবে ২৯ মার্চ। তবে অমর্ত্য সেন যদি প্রতিনিধি পাঠান তাহলেও চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী।
জমি বিতর্কের মাঝেই অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর দাবি অধ্যাপক সেনের পিতা আশুতোষ সেনের নামে ১.৩৮ ডেসিমেল জমি রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ জমি রেকর্ড সংশোধন'এর জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন।
সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর মন্তব্য করার জন্য সংবাদমাধ্যমেই ক্ষমা চাইতে হবে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি চেয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে স্পষ্টত ‘নোংরামি’ বলে সম্বোধন করেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক।