প্রত্যাশামতোই শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় পূর্ণ গ্যালারির সামনে আইএসএল ফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই হল। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি।
এবারের আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়ে গেল। শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল ফাইনাল।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বড় দল বা খেলোয়াড়দের সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায়। রবিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএল সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সেটাই দেখাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
আই লিগ থেকেই ইস্টবেঙ্গল ও বেঙ্গালুরু এফসি-র ম্যাচে তীব্র উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে। আইএসএল-এও এই দুই দলের ম্যাচ মানেই দুর্দান্ত লড়াই।
বড় ম্যাচ যেমন নায়কের জন্ম দেয় তেমনই আবার খলনায়কও তৈরি করে। রবিবার যেমন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গেলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা।
অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের প্রধান কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তন এবং জনি কাউকোর দলে ফেরা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে ইতিবাচক বদল এনেছে। আইএসএল-এ এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েকটি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো হয়নি। হঠাৎই যেন ফুটবল খেলা ভুলে গিয়েছেন নাওরেম মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গারা। সোমবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধেও ভালো পারফরম্যান্স দেখা গেল না।
অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাস ফের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধেও দারুণ লড়াই দেখা গেল।
বোরহা হেরেরা ও হেভিয়ের সিভেরিও টোরো দল ছাড়ার পর থেকে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধেও ভালো ফল হল না।
কলিঙ্গ সুপার কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার আইএসএল-এ ছন্দে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের দলের লক্ষ্য।